ফরিদগঞ্জ উপজেলার বালিথুবা (পশ্চিম) ইউনিয়নের সেক্দী মোড় থেকে রাধা মার্কেট পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার সড়কে চলমান কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও নিম্নমানের সামগ্রী ব্যহারের অভিযোগ উঠেছে। সড়কে দরপত্রের শর্তানুযায়ী কাজ করা হচ্ছেনা বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন।
সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন আ’লীগ নেতা মো.মনির হোসেন মজুমদার, আল-আমিন, ফরিদ মিজি, হারুন মিজি, মাজহারুল ইসলাম তালুকদার,আতিকুর রহমান, লোকমান বেপারিসহ বেশ কয়েকজন জানান, নিন্মমানের সরঞ্জামাদি দিয়ে সড়কটিতে কাজ করছে ঠিকাদার, আমরা বাঁধা দিয়ে ও কোন প্রতিকার পাইনি বরং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করেই ঐ নিন্ম মানের ইট দিয়েই রাস্তার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
রাস্তার দু‘পাশ মাটি দিয়ে ১ ফুট করে সম্প্রসারণের কথা থাকলেও তা সঠিক পরিমানে প্রসস্থ করা হয়নি বরং রাস্তার দুই পাশে যেই মাটি দেওয়া হয়েছে তা রাস্তার পাশ থেকে তোলা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ঠিকাদার বলেন, আমি এর আগে কখনো এত নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কোন ঠিকাদার রাস্তার কাজ করতে দেখি নাই।
উপজেলা প্রকৌশল দপ্তর সূত্রে জানাযায়, ফরিদগঞ্জ সেক্দী টু রাধা মার্কেট ৩ কিলোমিটার রাস্তা মেরামতের জন্য ৭০ লাখ টাকা বরাদ্দ হয়।
কাজের ঠিকাদার জাকির হোসেন জানান, আমিতো নিম্নমানের ইট দিয়ে কাজ করি নাই। রাস্তার দু পাশে চর রয়েছে, সে কারনে বেশি ইট পেলতে হয়েছে বিধায় কিছু ইট খারাপ পড়েছে, জনগন কাজে বাধা দিয়েছে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাকে কাজে বাঁধা দেওয়া হয়নি এবং অফিস থেকেও কোন প্রকার নোটিশ করা হয়নি, এ ধনের কিছু হলে আমি পূরঃরায় কাজ করে দেওয়া হবে। কত টাকার কাজ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ৬ মাস পূর্বে কাজ পেয়েছি ৬ মাস পরে কি আর মনে আছে কত টাকার কাজ করছি ‘তা আমি বলতে পারবো না অফিস জানে।
কাজের অনিয়ম সম্পর্কে জানতে চাইলে ঠিকাদার জানান, ‘অফিসের লোকজনের নির্দেশ মোতাবেক কাজ করছি যা জানার থাকে অফিসে গিয়ে জানুন।
উপজেলা প্রকৌশলী ড. মোঃ জিয়াউল ইসলাম মজুমদার জানান, কাজের মান রক্ষায় আমি সচেষ্ট। রোববার আমি রাস্তাটি পরিদর্শন করে কংক্রিটের মান খারাপ দেখে ঠিকাদারকে খারাপা কংক্রিট সরিয়ে ভালো কংক্রিট এনে কাজ করার নির্দেশ দিয়ে এসেছি। অন্যান্য দিকগুলোও সঠিক নিয়ম মেনে কাজের গুনগতমান রক্ষা করেই কাজ সম্পন্ন করতে হবে বলে জানান।
শিমুল হাছান