চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের সংস্কার কাজের ধীরগতিতে টেকনিক্যাল থেকে মঠখোলা ও বাবুরহাট পর্যন্ত দিনভর থেমে থেমে ভয়াবহ যানজট চলছে। যানজটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানবাহন আটকা পড়ে যাত্রীদের নাকাল হতে হচ্ছে।
এসময় অনেক যাত্রী ও পণ্যবাহী যানবাহন ধীরগতিতে চলার কারণে জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। গাড়ির চালক ও যাত্রীরা বলছেন, ঢাকা, কুমিল্লা, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত যানবাহন চাঁদপুরে আসলে বাবুরহাট কিংবা মঠখোলা ও টেকনিক্যাল পর্যন্ত দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। আর এ যানজট পেরিয়ে আসতে যাতায়াতে প্রায় দেড় ,২ ঘণ্টা সময় লেগে যায়।
যাত্রী, চালক ও স্থানীয়দের অভিযোগ- সড়কের সংস্কার কাজে গাফলতি এবং ধীর গতিতে কাজ করার কারণে এ সীমাহীন যানজট দেখা দিয়েছে।
পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে চাঁদপুর – কুমিল্লা মহাসড়কের দু’পাশে সড়ক প্রসস্ত করার জন্য টেকনিক্যাল থেকে শুরু করে মঠখোলা পর্যন্ত দু’পাশের মাটি খুঁড়ে গর্ত করা হয়। আর ওই গর্তে কোন প্রকার মাটি বা কংক্রিট না ফেলে এভাবে কাজ বন্ধ রাখায় প্রতিদিনই সড়কটির ওইস্থানে ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি হয়।
আর এ যানজট লেগে থাকে প্রায় সারাদিন। যখন যানজট সৃষ্টি হয় তখন থেমে থেমে ধীর গতিতে যানজট পার হতে প্রায় ১ থেকে দেড় দুই ঘন্টা সময় পার হয়ে যায়। এতে করে যানজটে আটকা পড়ে যাত্রী ছাড়াও পণ্যবাহী যানবাহন, রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সকে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়তে হয়। আর এ যানজটের দুর্ভোগ প্রায় ২০ থেকে ২৫ দিন চলছে বলে স্থনীয়রা জানায়।
বৃহস্পতিবার (২৮ জুন) দুপুরে চাঁদপুর-কুমিল্লা মহাসড়কের ওয়াপদা গেট এলাকায় সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সড়কের দু’পাশে মাটি খুঁড়ে গর্ত করে ফেলে রাখার কারণে টেকনিক্যাল ব্রিজ হতে মঠখোলা পর্যন্ত দীর্ঘ যানজট লেগে আছে।
গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে সড়কের পাশের ওই গর্তগুলোতে বৃষ্টির পানি জমে কাঁদা পানিতে একাকার হয়ে রয়েছে। যার ফলে যানজট এড়ানোর জন্য সড়কের পাশ দিয়েও কোন যানবাহন চলাচল করতে পারছে না।
একই সাথে ওইস্থানে একটি সিএনজি স্টেশন থাকায় সেখানে সাড়িবদ্ধ ভাবে সিএনজি স্কুটারকে গ্যাসের জন্য অপেক্ষা করতে দেখাযায়। তাই একদিকে এসব স্কুটারের দীর্ঘ লাইন, অন্যদিকে সড়কের পাশে কাঁদা পানি এই দুইয়ে মিলে প্রায় ২০/২৫ দিন ধরে ভযাবহ যানজটের চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন চালক, পথচারী ও যাত্রী সাধারণরা।
ঢাকা থেকে আগত পদ্মা বাসের যাত্রী মাসুদ হোসেন ও কুমিল্লা থেকে বোগদাদ বাসের যাত্রী সালেহা বেগমসহ বিভিন্ন যানবাহনের বেশ ক’জন যাত্রী জানান, ‘যেখানে আমরা আরো ১ দেড় ঘন্টা আগে চাঁদপুরে পৌঁছার কথা, সেখানে এমন যানজটের সৃষ্টি হওয়ায় এখনো আমরা যানজটে পড়ে যানবাহনেই বসে আছি। ’
তাই চাঁদপুর -কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কে যাতায়াতকারী হাজার হাজার যাত্রী এমন দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতে কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছেন।
প্রতিবেদক- কবির হোসেন মিজি