চাঁদপুর

চাঁদপুর-শরীয়তপুর রুটে সড়কের বেহালদশায় সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে

চাঁদপুর-শরীয়তপুর রুটে শরীয়পতুর মেঘনার পশ্চিম পাড়ে ১১ কি.মি.সড়ক সংস্কার না করায় এবং চলাচলের অনপুযোগী হওয়ায় প্রতিমাসে কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। যার ফলে এ রূটে চলাচলকারী যানবাহনের সংখ্যা দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে। আর যে সব যানবাহন চলাচল করছে তারা প্রতিনিয়তই বড় ধরনের দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে , ৩ মাস পূর্বে এ রুটের চাঁদপুর অংশে হরিণা ঘাট থেকে ফরিদগঞ্জ উপজেলার ভাটিয়ালপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত সোয়া ১১ দশমিক ২৮ কি.মি.সড়ক বেহাল অবস্থায় ছিলো। কিন্তু সরকার এ সড়কের বরাদ্দ দেয়ার কারণে দ্রুত কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।

পবিত্র ঈদুল আযহার পূর্বেই সড়কটি সংস্কার হওয়ায় যাতায়াতের সংখ্যা বেড়েছে। বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ আবার এ রূটে চলাচল শুরু করেছে। কিন্তু শরীয়তপুর অংশের নরসিংহপুর ফেরিঘাট থেকে নারায়ণপুর পর্যন্ত প্রায় ১১ কি.মি. সড়কই এখন বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ওই সড়কটি চলাচলের পুরোপুরি অযোগ্য।

চট্টগ্রাম, ফেণী ও খুলনার মধ্যে চলাচলকারী কমপোর্ট পরিবহনের বাস চালক সিরাজুল ইসলাম ও দিদার পরিবহনের চালক রহমান মিয়া জানান, ফেণী থেকে সকাল সাড়ে ৬ টায় রওয়ানা হয়ে সকাল সাড়ে ৯ টায় চাঁদপুর ফেরিঘাটে এসেছি। কিন্তু ফেরি পারপার আর শরীয়তপুর অংশে বেহাল সড়ক দিয়ে খুলনা যেতে প্রায় সন্ধ্যা হয়ে যাবে। সড়কটি সংষ্কার না হওয়ায় যানবাহন, চালক ও যাত্রীদের অর্থ এবং সময় দু’টোই অপচয় হচ্ছে।

বিআইডাব্লিউটিসি চাঁদপুর কার্যালয়ের ব্যাবস্থাপক পারভেজ খান জানান, চাঁদপুর-শরীয়পতপুর ফেরি রুটের চাঁদপুর অংশের সড়কে এখন আর কোনো ধরনের সমস্যা নেই। বর্তমানে দু’টি ফেরি নিয়মিত যানবাহন পারাপার করছেন। ২৯ আগস্ট বুধবারও ৩ লাখ টাকা সরকারের রাজস্ব আদায় হয়েছে। শরীয়তপুর অংশের সড়কটি দ্রুত সংস্কার হলে রাজস্ব কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাবে।

প্রতিবেদক : মাজহারুল ইসলাম অনিক
আপডেট,বাংলাদেশ সময় ৬:১০ পিএম,৩০ আগস্ট ২০১৮,বৃহস্পতিবার
এজি

Share