বাবা-মেয়ের স্যালুট বিনিময়ে প্রশংসায় ভাসছে নেট দুনিয়া। বাংলাদেশ পুলিশের সাব-ইন্স্পেক্টর হলেন বাবা, তার কন্যা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন। দেশের কাজে নিয়োজিত থেকে মেয়েকেও দেশের কাজে যোগদানের যোগ্য করে তুলেছেন।
মেয়ের এমন অর্জনে গর্বিত বাবা স্যালুট ঠুকলেন। মেয়েও স্যালুট দিলেন বাবাকে।
বাবা-মেয়ের এই বিরল দৃশ্যটি ক্যামেরাবন্দি করে রংপুর জেলা পুলিশের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে পোস্ট করা হয়েছে। পোস্ট করার সঙ্গে সঙ্গেই সোশ্যাল সাইটে ভাইরাল হয়ে গেছে দেশের কাজে নিয়োজিত বাবা-মেয়ের ছবি।
ছবির পুলিশ কর্মকর্তা হলেন রংপুরের গংগাচড়া থানার সাব-ইন্সপেক্টর আব্দুস সালাম। তার কন্যা ডা. শাহনাজ পারভিন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন। পোস্টের ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ‘অভিনন্দন! পিতা সাব-ইন্সপেক্টর আব্দুস সালাম, গংগাচড়া থানা, রংপুর ও মেয়ে ক্যাপ্টেন ডা. শাহনাজ পারভিনকে। সন্তানের কাছে ধৈর্য, কষ্ট সহিষ্ণু ও নৈতিক আদর্শের প্রতীক হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে পারলেই শুধু এ ধরনের অসাধারণ মুহূর্তের উদ্ভব হয়। জেলা পুলিশ রংপুরের পক্ষ থেকে আবারও পিতা ও কন্যাকে আন্তরিক অভিনন্দন।’
পোস্টের কমেন্ট সেকশন ভরে গেছে অভিনন্দন বার্তায়।
মুক্ত হাসান লিখেছেন ‘বাপটা অনেক কষ্টে হয়তো তার কান্নাটা চেপে রেখেছেন মুখ দেখে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। এখানে সন্তানের পোষ্টটা যদিও বড় তবে জয়ী বাবা। কারন কিছু মুহূর্ত থাকে বাবা সন্তানের কছে হেরে যেতে বা সন্তানকে তার থেকে উচ্চস্থানে দেখাটা তার বড় বিজয়। আর একজন পুলিশের ডিউটির মাঝে সন্তানকে লালন করা বিশাল কঠিন কাজ। আল্লাহ তার বাবার পরিশ্রম ও সন্তানের মেধার মাঝে বরকত দান করুন।’
যেমন লুৎফর কবির লিখেছেন, ‘অসাধারণ মুহূর্ত! গর্বিত বাবা-মা এবং তাদের সন্তানকে স্যালুট। আপনাদের জন্য শুভ কামনা।’
সোহরাব আকন্দ লিখেছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ্। এ অর্জন শুধু এস আই আব্দুস ছালাম স্যারের নয়। এ অর্জন আমাদের। সমগ্র পুলিশ বাহিনীর। যারা দিন রাত ক্লান্তিহীন, শ্রান্তিহীনভাবে ২৪ ঘণ্টায় ১৮ থেকে ১৯ ঘণ্টায় দেশের মানুষের কল্যাণে ডিউটি করার পর নিজের পরিবারকে দেওয়ার মতো একটু সময় পায় না।’