হ্যান্ড স্যানিটাইজার শব্দটি কোভিড-১৯ চলাকালীন বহুলব্যবহৃত শব্দগুলোর মধ্যে অন্যতম। আগের তুলনায় করোনাকালীন হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবহার বেড়েছে অনেক গুণ। আগে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার জন্য সচেতনতা তৈরি করতে হতো। কিন্তু এখন কোভিড-১৯ আতঙ্কে প্রায় প্রতিটি মানুষের পকেটে হ্যান্ড স্যানিটাইজার থাকে।
হ্যান্ড স্যানিটাইজার অতিমাত্রায় ব্যবহারের কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। বাজার এখন প্রচুর নকল হ্যান্ড স্যানিটাইজারে সয়লাব। সেগুলোর কেমিক্যাল কম্পোজিশনেরও কোনো ঠিক নেই। হ্যান্ড স্যানিটাইজার বেশি ব্যবহারের কারণে হাত শুষ্ক হওয়া, হাত ফেটে যাওয়া,চামড়া ওঠা,লাল হওয়া,ঘা হওয়া এমনকি চুলকানি হতে পারে।
এ ছাড়াও,স্যানিটাইজারের বিভিন্ন উপাদানের কারণে একজিমা পর্যন্ত হতে পারে। বিষাক্ত ও নকল উপাদানের কারণে স্কিন ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকিও তৈরি হতে পারে। অনেক স্যানিটাইজারে সুগন্ধযুক্ত রাসায়নিক থাকে,যা চামড়ার জন্য ক্ষতিকর।
অনেক জার্নালে বলা হয়েছে, স্যানিটাইজারে ট্রাইকার্বন চেইন থাকে, যা বন্ধ্যত্বের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। সুতরাং হ্যান্ড স্যানিটাইজার অবশ্যই চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শে ব্যবহার করতে হবে। প্রতিবার ব্যবহারের পর হাতে ময়েশ্চারাইজার মাখতে হবে।
হাতের চামড়া উঠলে বা হাত ফেটে গেলে নিজে থেকে কোনো ওষুধ ব্যবহার যাবে না। যে ওষুধ পূর্ণবয়স্ক মানুষের কাজে দেবে, তা গর্ভবতী নারীর ক্ষেত্রে ক্ষতিকরও হতে পারে। তাই রোগীভেদে একেক ধরনের ওষুধ লাগানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। সবকিছু বিবেচনা করে স্যানিটাইজার ব্যবহারে সতর্ক থাকতে হবে।
লেখক: ডা. মেহ্রান হোসেন,চর্ম ও যৌন রোগ বিশেষজ্ঞ, ইউএস-বাংলা মেডিকেল কলেজ । ১০ জুলাই ২০২১
এজি
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur