শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, এখন আমরা স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছি। সব দিক থেকেই আমরা চৌকস হয়ে উঠবো।
আমাদের সরকার ও শিক্ষা ব্যবস্থাসহ সব ক্ষেত্রে স্মার্ট হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে আগে শিক্ষাখাতকে স্মার্ট করতে হবে। এজন্য সব উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবাব (২৭ ডিসেম্বর) বিকেলে গাজীপুরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, আমরা রূপকল্প ২০৪১ নিয়ে এগুচ্ছি। আমরা আগে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলাম। এটি এখন বাস্তব। আমাদের আন্তর্জাতিক ও জাতীয় কতগুলো লক্ষ্য রয়েছে। সেগুলো নির্ধারিত সময়েই অর্জন করতে সক্ষম হবো। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় খুব শিগগিরই ১৯টি দক্ষতা ভিত্তিক শর্টকোর্স চালু করতে যাচ্ছে। এসব নতুন নতুন কোর্স চালু হলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাফল্য সারাদেশকে পথ দেখাবে।
তিনি বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে। এজন্য উচ্চশিক্ষার বড় ভূমিকা রয়েছে। এ উচ্চশিক্ষার ৭০ শতাংশ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের। এ বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আমাদের স্বপ্ন। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় একটি অংশ খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের সন্তান। এ সন্তানরাই আমাদের দেশকে পাল্টাতে পারেন। বিসিএসের গত কয়েক বছরের ফলাফলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উল্লেখযোগ্য সাফল্য দেখিয়েছেন।
সকালে গাজীপুরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে একাডেমিক ভবনের সামনে শান্তির প্রতীক পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। কেক কেটে, আনন্দ র্যালি ও দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদযাপন করা হয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
তিনি বলেন, দেশের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। অত্যন্ত সফলভাবে তারা সারাদেশের অধিভুক্ত কলেজগুলোর শিক্ষার মান উন্নয়নসহ শিক্ষা প্রশাসন পরিচালনা করছে। যদিও এ কাজ অত্যন্ত কঠিন এবং চ্যালেঞ্জের। দেশের দুই হাজার ২৫৭টি কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাপনা, পরিচালনা পর্ষদ গঠন, মান উন্নয়নসহ নানাবিধ কাজ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে সামলাতে হয়। তবে আমাদের দেশের সাধারণ শিক্ষার চেয়ে কারিগরি শিক্ষা, কর্মমুখী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বাড়ানো উচিত। কারণ এসব ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের সুযোগ বেশি সৃষ্টি হয়।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সিমিন হোসেন রিমি, সংসদ সদস্য (এমপি) শামসুন নাহার, ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. হাবিবুর রহমান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. নিজামউদ্দিন আহমেদ ও বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. নাছিমা বানু প্রমুখ।
বার্তা কক্ষ, ২৭ ডিসেম্বর ২০২২