কেউ পড়ে প্যান্ট শার্ট, কেউবা পাঞ্জাবি। নারীদের মধ্যে শাড়ি, ফতুয়া কিংবা টি-শার্ট। অনেকে পড়ছেন নিজেদের দেশের ঐতিহ্যবাহী পোশাক। তবে যে যাই পড়ুক না কেন বর্তমান পৃথিবীতে একটি একটি জিনিস কমন। আর সেটি হলো মাস্ক। আপনি পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাকুন না কেন প্রয়োজনে বাইরে বের হলে আপনাকে মাস্ক পড়তেই হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে মাস্ক পড়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। নিয়ম মেনে দেশের মানুষও মাস্ক পরিধান করছেন। বাজারঘুরে মাস্কের বিস্তারিত তুলে ধরা হলো।
প্রয়োজনীয় মাস্ক
করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে বেশি চাহিদা মাস্কের। সচেতন নাগরিক হিসেবে সারা দেশে সবাই এখন মাস্ক ব্যবহার করছে। রাস্তায়, ফুটপাতে, বিভিন্ন অনলাইন শপে মাস্ক বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া সারা দেশের ফার্মেসি ও সার্জিক্যাল স্টোরগুলোতে মাস্ক পাওয়া যায়।
সাধারণত চীন বা জাপান থেকে বাংলাদেশে মাস্ক আসে। বর্তমানে দেশিও কাপড়ের মাস্কের চাহিদাও রয়েছে।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে ফার্মেসিতে ডিসপোজিবল নন ওভেন ফ্যাব্রিক মাস্কের দাম ২৫ টাকা। কটন মাস্ক বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়, স্পঞ্জ অ্যান্টি ডাস্ট মাস্ক ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এন-৯৫ (৮২১০) মাস্ক ২৫০ টাকা, এন-৯৫ (৮১১০এস) ১৮০ টাকা, পিএম-২.৫ মাউথ মাস্ক ১২০ টাকা।
চীন থেকে শাওমি ব্র্যান্ডের যে মাস্ক আনা হচ্ছে, সেগুলোর দাম যথাক্রমে এয়ারপপ থ্রি-সিক্সটি ডিগ্রি অ্যান্টি ফগ মাস্ক ৩৫০ টাকা, স্মার্টলি ফিল্টার মাস্ক ৪৫০ টাকা, শাওমি পিএম-২.৫ লাইট ওয়েট মাস্ক বিক্রি হচ্ছে ১৭৫০ টাকয়।
অনলাইন মাস্কজেনের স্বত্বাধিকারীর তামান্না হক জানান, বাজারে বা ফুটপাতে মাস্কের চাহিদাই বেশি। আমাদের অনলাইন শপে স্টাইলিশ ও কাপড়ের তৈরি মাস্ক পাওয়া যায়। এগুলো সুতি কাপড়ের হওয়ার কারণে ব্যবহার আরামদায়ক।
বিভিন্ন ফ্যাশন হাউসগুলোতে বিক্রি হচ্ছে ফ্যাশনেবল মাস্ক। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিক্রয় ব্যবস্থাপক জানান, করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য মানুষ সবচেয়ে বেশি কিনছে মাস্ক। ৭০, ১২৫ ১৪৫, ১৪৫, ৩৯৫ ও ৮৯৫ টাকার মাস্ক রয়েছে। “মাস্ক এখন শুধু প্রয়োজনই না, এটি ফ্যাশনের অনুষঙ্গও বটে। তাই শুধু নিজেকে সুরক্ষিত রাখার পাশাপাশি ফ্যাশনেও মাস্ক অন্যতম অনুষঙ্গ।
বার্তাকক্ষ.২৩ আগস্ট ২০২০
কে. এইচ