বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা একেবারেই ভেঙে পড়েছে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আর আস্থা নেই। তারা আস্থা রাখতে পারছে না।
৩০ জুলাই বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সদ্য প্রয়াত সভাপতি শফিউল বারীর বাবুর বাসায় পরিবারের সদস্য সাত্বনা জানানোর পর সাংবাদিকদের কাছে তিনি এই মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, বাবুর (শফিউল বারী বাবু) এভাবে মৃত্যু- এটা আরেকটা সত্য উতঘাটিত করেছে যে, বাংলাদেশের যে, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা একেবারেই ভঙ্গুর। এখানের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার প্রতি যে মানুষ আস্থা রাখতে পারে না- বাবুর অসুস্থতা, তা চলে যাওয়া এটাই প্রমাণ করে।
তিনি আরো বলেন, অনেকে অভিযোগ করে যে, বাংলাদেশের মানুষেরা বাইরে চিকিৎসা করতে যায় কেনো? এজন্য যায় যে, এখানে আপনার ডায়োগনেসিস করা সম্ভব হয় না, ডায়োগনেসিসে সমস্যা হয়, বিভিন্নভাবে এখানকার। সমস্ত ব্যবস্থাটা ইট সেলফ রোগীদের জন্য একটা সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়।
মির্জা ফখরুল বলেন, বাবুর মতো একজন জনপ্রিয়, সচেতন রাজনৈতিক নেতা এভাবে চলে যাবে এটা আমরা কল্পনাই করতে পারিনি। তার অল্প সময়ের জীবনের ক্যারিয়ার বর্ণাঢ্য। তাকে শুধু বিএনপির জন্য নয়, তাকে দেশের মানুষের জন্য, মানুষের জন্য প্রয়োজন ছিলো। হি হেভ অল দ্যা কোয়ালিটিজ, তার সম্ভাবনা ছিল।
তিনি বলেন, আল্লাহ তা‘লা বাবুর বেহেস্ত নসিব করুক। তার স্ত্রী ও সন্তানদেরকে এই শোক সহ্য করবার ক্ষমতা দিক, বাবু চলে যাওয়ায় আমাদের দলের নেতা-কর্মীরা যেভাবে ভেঙে পড়েছে আল্লাহ তাদেরকে শোক সহ্য করবার শক্তি দিক।
এর আগে দুপুর নিউ ইস্কাটনে শাইনপুকুর এপার্টমেন্টে প্রয়াত শফিউল বারী বাবুর বাসায় গিয়ে বিএনপি মহাসচিব বাবুর স্ত্রী বিথীকা বিনতে হোসাইনের সাথে কথা বলে সমবেতনা জানান। বাবুর ছোট দুই ছেলে মেয়ে ফাতেমা বারী তুহিন ও আয়হান বারী সাঈদকে কাছে নিয়ে আদর করেন মির্জা ফখরুল।
এ সময় বিএনপি নেতা কামরুজ্জামান রতন, প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের আবদুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, মোস্তাফিজুর রহমান, সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, গোলাম সারোয়ার, ইয়াসীন আলী, চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা ব্যুরা চীফ, ৩০ জুলাই বৃহস্পতিবার