চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি সাড়ে ৬ লাখ মানুষের চিকিৎসা সেবার একমাত্র সরকারি হাসপাতালটিতে এক্সরে টেকনিশিয়ান না থাকায় বন্ধ রয়েছে এক্সরে। ৫০ শয্যা বিশিষ্ট্য হাসপাতালটি এখনও চলছে ৩১ শয্যার জনবল দিয়ে।
ডাক্তারের অনুমোদিত পদ সংখ্যা ২৩টি। তন্মধ্যে ২জন প্রেষণে ও ১ জন রয়েছে অনঅনুমোদিত ছুটিতে। মাঠকর্মী ১শত ৯৩টির স্থলে কর্মরত রয়েছে ১৩৭টি পদে, শূন্য রয়েছে ৫৬ টি পদ।
দুটি এ্যান্বুলেন্সের দরকার থাকলেও রয়েছে মাত্র ১টি । ডিজিটাল এক্সরে মেশিন ১টি ও সাধারণ এক্সরে মেশিন রয়েছে ১টি। অপারেশন কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। তাছাড়া করোনার হাই ফ্লো নাজাল নেই। করোনা শনাক্তের হার ৪১ শতাংশে দাড়িঁয়েছে।
ল্যাব টেকনেশিয়ান ৩ টি পদের মধ্যে মাত্র ১টি পদে লোকবল রয়েছে। মিডওয়াইফের ১টি পদ শূন্য রয়েছে। পরিচ্ছন্ন কর্মীর ৫টি পদের মধ্যে ২ টি শূন্য রয়েছে। ফলে এত বিশাল হাসপাতাল ক্যম্পাসটি পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে বেকায়দায় পড়তে হচ্ছে।
সোনলোজিষ্ট না থাকায় আল্ট্রা বন্ধ রয়েছে। করোনা ইউনিটে বর্তমানে মাত্র ৭টি বেড রয়েছে। রোগীর তুলনায় অপ্রতুল। এখানে ৩৫ টি অক্সিজেন সিলিন্ডার রয়েছে। চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর ৪টি পদ শূন্য রয়েছে। সিলিন্ডার মেডিসিন সার্জারি,এ্যানেসথেসিয়া লজিষ্ট, চক্ষু, অর্থোপেটিক, চর্ম ও যৌন, ইএনটি,কার্ডিওলজি, গাইনী, শিশু কনসালট্যান্ট পদ শূন্য রয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক কর্মকর্তা ডাঃ কামরুল ইসলাম চাঁদপুর টাইমসকে জানান, আমাদের সাধ্যমত আমরা চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছি। লোকবলের সংকট নিরসন হলে সেবার মান আরো বৃদ্ধি হবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোঃ আশ্রাফুজ্জামান চৌধুরী চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, সার্বিক চিকিৎসা সেবা আগের চেয়ে অনেকটা ভালো। ৫০ শয্যায় উন্নীতের প্রশাসনিক অনুমোদন পেয়েছি, জনবল ও পদ সৃজনের জন্য উধর্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট পত্র পাঠিয়েছি। ডাক্তারদের উপস্থিতি সন্তোষজনক ও দালার চক্র সহনীয় পর্যায় রয়েছে বলে জানান। ডাক্তারদের অনুপস্থিতির বিষয়ে জানান, পূর্বের চেয়ে এখন অনেকটা ভালো।
প্রতিবেদক: শিমুল হাছান, ২৭ জুলাই ২০২১