চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে তফুরুন্নেছা ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে সম্পন্ন বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছে দূরদূরান্ত গ্রামের নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের সাধারন মানুষ।
গত বছরের আগস্ট মাসে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পানা মন্ত্রনালয়ের অধীনে হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু হয়। গত এক বছরে নরমাল ডেলিভারি হয়েছে প্রায় শতাধিকের উপরে। তাছাড়া শিশু, কিশোর- কিশোরী ও গর্ভকালীন মহিলাদের সেবার পাশাপাশি প্রতিদিন প্রায় অধ্যশত সাধারন মানুষ এখানে সব ধরনের স্বাস্থ্যসেবা গ্রহন করে আসছে।
এসব সেবাগ্রহীতাদের জন্য সার্বক্ষণিক ডাক্তার, নার্সের পাশাপাশি ঢাকা থেকে আগত এমবিবিএস ডাক্তার নিয়োজিত রয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাজীগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ অঞ্চলে অবস্থিত গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়নের পালিশারা গ্রামে গড়ে উঠেছে তফুরুন্নেছা ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রটি। যেখানে প্রতিদিন উপজেলা ও পাশ্ববর্তী উপজেলার অন্তত অর্ধশত গ্রামের মানুষ এখানে নানা সেবা সম্পন্ন বিনামূল্য গ্রহন করে আসছে।
৫০ শতাংশ জমির উপর বিশাল পরিসরে তফুরুন্নেছা ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে দুইটি ৩ তলা বিশিষ্ট ভবন স্বাস্থ্য পৌকশলী অধিদপ্তর বাস্তবায়ন করেছে। নিচ তলায় দৈনিক ছুটে আসা রোগীদের সেবায় নিয়োজিত। ২য় ও ৩য় তলায় গর্ভবতী মা ও শিশুদের শয্যায় নিয়োজিত রয়েছে। হাসপাতালে ছুটে আসা মানুষের সেবায় ৩ জন ডাক্তার সার্বক্ষণিক নিয়োজিত রয়েছে।
সেবা গ্রহীতা পালিশারা গ্রামের শারমিন, দেশগাঁও গ্রামের রাবেয়া, গন্ধর্ব্যপুর গ্রামের ফাতেমা ও মালিগাও গ্রামের সীমা আক্তার বলেন, আমরা শুনে এসেছি এখানে সরকারি ভাবে সম্পন্ন বিনা খরচে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হয়, বাস্তবে এসে ঔষুধ পর্যন্ত বিনামূল্যে পেলাম। আমাদের মত গরিব মানুষের জন্য হাতের নাগালে স্বাস্থ্যসেবা পৌচে দেওয়ার জন্য ততকালীন স্বাস্থ্য বিভাগের মহা পরিচালক ডা. কাজী মোস্তফা সরোয়ারকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের ততকালীন মহা পরিচালক ডা. কাজী মোস্তফা সারোয়ার বলেন, আমি দায়িত্বে থাকাকালীন উপজেলাবাসীর স্বাস্থ্য সেবার কথা চিন্তা করে ১০ শয্যা হাসপাতালের অনুমোদনের ব্যবস্থা করি। আমাদের পরিবারের ৫০ শতাংশ জমি সরকারকে দান করায় আমার মায়ের নামে হাসপাতালটির নামকরণ করা হয়েছে। কিন্তু হাসপাতালের ডাক্তার, নার্স, ঔষুধ সেবা সবই সরকারিভাবে নিয়ন্ত্রনে চলছে।
হাসপাতালের ইনচার্জ উপজেলা ফ্যামিলি প্লানিং কর্মকর্তা ফারুক হোসাইন বলেন, সরকারি এ হাসপাতালে প্রতিদিন প্রায় ৫০/৬০ জন নানা রোগে চিকিৎসা নিচ্ছে। গত প্রায় এক বছরে নরমাল ডেলিভারি হয়েছে শতাধিকের উপরে।
উপ সহকারি মেডিকেলে অফিসার (ডিএমএফ) ডা. তানজিনা, ডা. মাহমুদা ছাড়াও প্রতি বৃহস্পতিবার এমবিএস মেডিকেলে অফিসার ডা. আকলিমা আক্তার ঢাকা থেকে ছুটে আসেন।
প্রতিবেদক: জহিরুল ইসলাম জয়, ২০ আগস্ট ২০২১
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur