প্রায় ১৪ লাখ উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার প্রবেশ দ্বারে অপেক্ষায় আছে গেল পয়লা এপ্রিল থেকে। করোনাবর্ষে এসে সরকারও সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার আগাম বাণীকেও আমলে নিচ্ছে না সরকার। শতবর্ষ পূর্বে ঘটে যাওয়া স্পেনিশ ফ্লু-এর মতো দ্বিতীয় ঢেউ ফের আসতে পারে আমাদের দেশে।
অণুজীব বিজ্ঞানীদের মতে, শীতপ্রিয় করোনাভাইরাস আবারও তেড়ে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই কালবিলম্ব না করে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ব্যবস্থা নিতেই হবে। প্রস্তুতির সময় পেয়েছে শিক্ষার্থীরা ১৭ মার্চ থেকে আজ অবধি।
আরও পড়ুন : ‘পাঁচ মাস ধরে বসে আছি এক টাকাও ইনকাম নেই’
এদিকে উচ্চমাধ্যমিক এমন একটি শিক্ষার স্তর যাকে মূল্যায়িত না করে আগামীদিনের উচ্চশিক্ষার লক্ষ্য নির্ধারণ করা কোনোক্রমেই সঠিক হবে না। তবে কারও কারও মতে স্বল্প নম্বরে বা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা নেওয়া হলে মূল্যায়নে যথার্থতা ব্যর্থ হবে। প্রস্তুতির অধিকতর সময় পাওয়ার কারণে পূর্ণ সিলেবাসেই পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে। তাই স্বাস্থ্যবিধি মানতেই হবে। সবকিছুর ঊর্ধ্বেই হলো বেঁচে থাকা।
সেই ক্ষেত্রে শারীরিক দূরত্ব বাড়াতে হবে। সে জন্য প্রয়োজন মূল কেন্দ্রের অধীনস্থ উপকেন্দ্র বাড়ানো। যেন পরীক্ষার্থীরা স্বল্প দূরত্বে, স্বল্প সময়ে, বিনা গণপরিবহনে, নিজ এলাকায় নিকটবর্তী কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে পারে। নকল ও স্বজনপ্রীতি প্রতিরোধে স্ব-স্ব কেন্দ্রের শিক্ষকমন্ডলীকে পার্শ্ববর্তী কেন্দ্রে স্থানান্তরিত করতে হবে। বিশ্বব্যাপী অনলাইন শিক্ষা ও পরীক্ষা নেওয়ার জন্য কার্যক্রম শুরু হলেও ডিজিটাল বাংলাদেশ সমান্তরালভাবে এগিয়ে যেতে পারেনি। বিশ্বায়নের প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে টিকিয়ে রাখতে হলে অনলাইনের বিকল্প নেই। সেক্ষেত্রে করোনা অনুঘটক (Catalyst) হিসেবে কাজ করবে।
এহসানুল হক মিলন, সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী,
আন্তর্জাতিক সম্পাদক জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur