জাতীয়

স্বাস্থ্যখাতে সরকারের সাফল্যের স্বীকৃতি বিশ্বব্যাপি : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, স্বাস্থ্যখাতে সরকারের সাফল্যে আজ বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি লাভ করেছে। তিনি স্বাস্থ্যসেবায় অগ্রগতির এ ধারা অব্যাহত রাখতে নিরন্তর গবেষণার উপর গুরুত্বারোপ করেছেন।

শনিবার (২৯ এপ্রিল) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০তম প্রতিষ্ঠবার্ষিকী ও বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী এক বাণীতে এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। আগামীকাল (সোমবার) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০তম প্রতিষ্ঠবার্ষিকী ও বিশ্ববিদ্যালয় দিবস।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আশা করি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা গবেষণার ক্ষেত্রে আরও তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে সরকারের রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে জাতির পিতার ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও উন্নত-সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংলা’ বিনির্মাণে অবদান রাখবে। ’

দিবসটি উপলক্ষে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক, চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সদ্য স্বাধীন যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনে দেশের স্বাস্থ্যখাতকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়েছিলেন।

‘তিনি দেশের ভেঙেপড়া চিকিৎসাসেবাকে পুনরুজ্জীবিত করেন। মাত্র সাড়ে তিন বছরের সরকারে জাতির পিতা দেশের হাসপাতালসমূহের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, ডাক্তার, নার্স নিয়োগসহ গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর কাছে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নেন।’

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করে জাতির পিতার প্রদর্শিত পথেই দেশের স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে পরিকল্পনা গ্রহণ এবং তা বাস্তবায়নে কাজ শুরু করে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা ১৯৯৮ সালে দেশের ইতিহাসে প্রথম ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়’ প্রতিষ্ঠা করি। এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে দেশে মেডিকেল উচ্চ শিক্ষার বিকাশ, স্বাস্থ্যখাতে গবেষণার প্রসার এবং বিশ্বমানের চিকিৎসা সেবা প্রদানে কাজ করে যাচ্ছে। ’

তিনি বলেন, সরকারের সময়োচিত পদক্ষেপের ফলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় আজ দেশের চিকিৎসা জগতে সেন্টার অব এক্সিলেন্সে পরিণত হয়েছে। তার সরকার ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় সেন্টার বেইজড সুপার স্পেসালাইজড হাসপাতাল’ প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে। চট্টগ্রাম ও রাজশাহীতে আরও দু’টি নতুন মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

‘আমরা একটি গণমুখী স্বাস্থ্য নীতি প্রণয়ন করেছি। এ নীতির বাস্তবায়ন করছি। হাসপাতালের শয্যাসংখ্যা, সাধারণ হাসপাতাল ও বিশেষায়িত হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা এবং বিশেষায়িত চিকিৎসাসেবা বহুগুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে। গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে প্রায় সাড়ে ১৬ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার সারাদেশে নতুন নতুন মেডিকেল কলেজ, ডেন্টাল কলেজ, নার্সিং কলেজ, নার্সিং ইনস্টিটিউট, মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল এবং হেলথ টেকনোলজি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেছে। বিপুল সংখ্যক চিকিৎসক, নার্স ও প্যারামেডিকস নিয়োগ দিয়েছে। প্রত্যেক জেলায় একটি করে মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনাও রয়েছে।

নিউজ ডেস্ক
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ০৬ : ৪৬ পিএম, ২৯ এপ্রিল ২০১৭,শনিবার
এইউ

Share