চাঁদপুর টাইমস ডেস্ক:
দাম্পত্য বা প্রেমের সম্পর্কে দুজনের মনের যোগাযোগ পথটা হওয়া চাই মসৃণ। কিন্তু হঠাৎ করেই সঙ্গীর চেনা আচরণে অচেনা সুর। ছোটখাটো ভুলত্রুটি বড় চেহারায় উপস্থিত। অস্থিরতায় দিন কাটছে উভয়ের। অধিকাংশ ক্ষেত্রে তৃতীয় পক্ষের উপস্থিতিতে সম্পর্কে এমন সমস্যা সৃষ্টি হয়। দুজনের মনের যোগাযোগ পথ হতে থাকে বন্ধুর। এমনকি সম্পর্কে বিচ্ছেদও হতে পারে। তাই নিজেদের অকৃত্রিম সম্পর্ককে টিকিয়ে রাখতে..
তৃতীয় ব্যক্তিকে সনাক্তকরণ
তৃতীয় ব্যক্তির সমস্যা মেটাতে চাইলে প্রথমে খুঁজে বের করতে তৃতীয় ব্যক্তির প্রকৃত পরিচয়। বন্ধু-বান্ধব, পরিবারের সদস্য বা পরিচিত কেউ হতে পারে। সম্পর্কভেদে একেক জনের প্রতি মানুষের একেক রকম সনোভাব থাকে। তাই সমস্যা সমাধানের আগে বুঝে নিন মানুষটি কে। তারপর হিসেব করে উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে পারেন।
সঙ্গীর মনের অবস্থা বুঝুন
সমস্যার কুশীলব তৃতীয় ব্যক্তি সঙ্গীকে কতটুকু প্রভাবিত করছে তা বুঝে নিন ভালো করে। যদি অল্প পরিমান প্রভাবিত থাকেন তাহলে সমাধান সহজ। আর যদি বেশি প্রভাবিত হয় তাহলে সঙ্গীকে ফেরাতে কাঠখড়ি পোড়াতে হবে যথেষ্ট। তবে আশা হারাবেন না।
সমস্যার বিষয় পরিষ্কার করুন
সঙ্গীর সঙ্গে সমস্যা নিয়ে খোলামেলা কথা বলুন। অযথা ভয় পেয়ে সমস্যাকে জটিল করার কোনো কারণ নেই। সব কথা সঙ্গীর সঙ্গে আলোচনা করুন। এতে করে তৃতীয় ব্যক্তির অবস্থান টিকবে না।
সম্পর্কের গুরুত্ব বোঝান
দুজনের ব্যক্তিগত কথা অন্য কারো সঙ্গে আলোচনা না করে সঙ্গীকে ভালো করে বুঝিয়ে বলুন। তৃতীয় ব্যক্তির দ্বারা প্রভাবিত হয়ে সঙ্গী ভুল পথে হাঁটছেন, তাকে চোখে আঙুল দিয়ে বুঝিয়ে দিন। অনাকাঙ্ক্ষিত ভবিষ্যৎ দুজনের জন্য কতোটা ক্ষতিকর তাও বুঝিয়ে বলুন।
একে অপরকে সময় দিন
সম্পর্কে তৃতীয় ব্যক্তি তখনই আসে যখন আপনারা দুজন দুজনকে পর্যাপ্ত সময় দিতে না পারেন। আপনি হয়তো অনেক বেশি ব্যস্ত, কিন্তু আপনার সঙ্গীর আছে অঢেল সময়। নিজের অবসর সময়ে অপরের সঙ্গে সময় দিয়ে ফাঁদে জড়িয়ে যান। তাই দুজনেই নিজেদের ব্যস্ত রাখুন। অবসরটুকু যেন দুজনই দুজনকে দিতে পারেন সে ব্যবস্থাও করুন।
নিজেকে শুধরান
নিজে হয়তো ব্ন্ধুদের সঙ্গে খুব খোলামনে মিশতে পারেন। কোনো ধরনের আশঙ্কা ছাড়াই সঙ্গীর সঙ্গে আলোচনাও করলেন। সামনের ওপর কিছু না বললেও মনে মনে ক্ষুব্ধ হতে পারে। অথবা, অপরের সঙ্গে মেলামেশাকে একটা বৈধ রূপ দিতে চাইতে পারে। অথচ সঙ্গীর সে বৈধতার মধ্যে অজান্তেই কিছু অবৈধতা ঢুকে পড়েছে। যেখান থেকে সে নিজেকে বের করে আনতে পারে না। আর তখনই সমস্যা দেখা দেয়। তাই নিজেকে শুধরান আগে।