রাজধানীর পল্লবী এলাকা থেকে ৭১ হাজার পিস ইয়াবাসহ তিন মাদক কারবারিকে আটক করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)। আটকদের মধ্যে দুজন নারী।
পল্লবীর ১১ নম্বর সেকশনের নাভানা প্রোবানী রিজডিল লিমিটেডে অভিযান চালিয়ে ইয়াবাগুলো উদ্ধার করা হয়।
অভিযানে আটকরা হলেন- শাহাদাত হোসেন (৩২), মনি ইসলাম (২৯) ও জান্নাতুল ফেরদৌস রুপা (১৯)। আটক মনি ইসলামের স্বামীও একজন ইয়ায়াবা কারবারি। বর্তমানে মনির স্বামী কারাগারে রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) বিকেলে পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়ায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর-ডিএনসির ঢাকা মেট্রো উপ-অঞ্চলের (দক্ষিণ) কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সংস্থার উপ-পরিচালক (ডিডি) পারভীন আক্তার এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক রাজীব মিনা ও খিলগাঁও সার্কেলের ইন্সপেক্টর ফজলুল হক খানের নেতৃত্বে এই অভিযান চালানো হয়। এ সময় পৃথকভাবে লুকিয়ে রাখা দুটি গাড়ির ভেতর থেকে ৭১ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। আটক করা হয় তিনজনকে।
পারভীন আক্তার বলেন, ইয়াবার চালানটি তারা টেকনাফ থেকে গোপনে ঢাকায় নিয়ে আসে। এগুলো রাজধানীর বিভিন্ন মাদক স্পটে সরবরাহের পরিকল্পনা ছিল আটকদের। এই চক্রের প্রধান রাজু মোল্লা ওরফে সুজন। তার বিরুদ্ধে মাদক ও অস্ত্রসহ ৪টি মামলা রয়েছে। সুজনের অবর্তমানে স্ত্রী মনি ইসলাম মাদকের কারবার করছিলেন। তাকে সহযোগিতা করছিলেন আটক অন্য দুজন। মনির বিরুদ্ধে এর আগেও শাহ আলীসহ রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ৬টি মামলা রয়েছে। দীর্ঘদিন কারা ভোগ করে গত ২৬ নভেম্বর জামিনে মুক্তি পান। পরে আবারও স্বামীর সঙ্গে মাদক বাণিজ্য শুরু করেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পারভীন আক্তার বলেন, আটকরা পেশাদার মাদক কারবারি। পারিবারিকভাবেও তারা দীর্ঘদিন ধরে এ ব্যবসা করছেন। উদ্ধার ইয়াবার চালানটি টেকনাফ থেকে গোপনে নিয়ে এসেছেন তারা। আটক মনির স্বামী রাজু মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তালিকাভুক্ত একজন মাদক কারবারি।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মনি ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে ৩১ হাজার ৫০০ পিস ইয়াবা রাখার দায়ে ২০১৯ সালের শাহ আলী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়। বর্তমানে মনির স্বামী কারাগারে রয়েছেন।