চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলায় স্ত্রী হত্যার দায়ে মো. আলমগীর হোসেন (৪৩) নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক হাজার টাকা জরিমানা করেছে আদালত।
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে চাঁদপুর জেলা ও দায়রা জজ সালেহ উদ্দিন আহমেদ এ রায় দেন।
নিহত রাবেয়া ফরিদগঞ্জ উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়নের উভারামপুর গ্রামের ইসমাইল হোসেনের মেয়ে এবং আলমগীর হাজীগঞ্জের সিদলা গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১২ সালের মার্চের ১০ তারিখ বিকেল আনুমানিক সাড়ে ৩টার দিকে আলমগীর তার শ্বশুর বাড়ি থেকে স্ত্রীকে নিজ বাড়িতে নিয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে স্ত্রীর সঙ্গে বাক-বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন।
একপর্যায়ে তিনি শ্বশুরের ঘরে থাকা দা দিয়ে স্ত্রীর ঘাড়ে কোপ দেন। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পর স্থানীয়রা আলমগীরকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।
ওইদিন রাতেই রাবেয়ার বাবা ইসমাইল হোসেন আলমগীরকে আসামি করে ফরিদগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরদিন তাকে পুলিশ আদালতে পাঠালে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে তিনি অপরাধ স্বীকার করেন।
ফরিদগঞ্জ থানার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালীণ সময়ের উপ পরিদর্শক (এসআই) অলক বড়ুয়া মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১২ সালের ১২ এপ্রিল আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
সরকার পক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আমান উল্যাহ বলেন, দীর্ঘ ছয় বছর মামলাটি চলমান থাকা অবস্থায় ১২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত। আসামি আলমগীরের অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় তার উপস্থিতিতে বিচারক তাকে যাবজ্জীবন কারাদ- ও এক হাজার টাকা জরিমানা করেন।
সরকার পক্ষের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) ছিলেন মোক্তার হোসেন অভি ও আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন মো. শাহজাহান মিয়া ও ফরিদ মিয়া রিপন।
প্রতিবেদক- মাজহারুল ইসলাম অনিক
: আপডেট, বাংলাদেশ ০৮:৫৩ পিএম, ১২ অক্টোবর, ২০১৭ বৃহস্পতিবার
ডিএইচ