জয়পুরহাট শহরের শান্তিনগর এলাকায় শাপলা খাতুন (২৪) নামে এক কলেজ ছাত্রী ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। মাথা ব্যাথা সহ্য করতে না পেরে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে তার স্বামী জানিয়েছেন।
রোববার রাতে শান্তিনগর এলাকার একটি ছাত্রী নিবাস থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত শাপলা খাতুন চক-দাদড়া গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী। তিনি জয়পুরহাট সরকারি ডিগ্রি কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্রী ছিলেন।
শাপলার ফুফা শাহারুর ইসলাম জানান, ৯ মাস আগে পাঠানপাড়া নওটিকা এলাকার আব্দুল গফুরের মেয়ে শাপলা খাতুনের বিয়ে হয় জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে। অনার্সে প্রথম বিভাগ থাকার কারণে সে লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছিল, পাশাপাশি চাকরির চেষ্টা করছিল। এজন্য সে কিছুদিন আগে ছাত্রী নিবাসে ওঠে এবং সেখান থেকেই বিসিএসের কোচিং করছিল। কিন্তু হঠাৎ তার আত্মহত্যার কারণ খুঁজে পাচ্ছি না।
ছাত্রী নিবাসের ছাত্রী মুক্তা ও তাবাসসুম জানান, শাপলা বিসিএস কোচিং করার জন্য ছাত্রী নিবাসে থাকে। সে অনেকদিন থেকে শুধু বলতো মাথা ব্যাথা করছে। রোববার বিকেলে মাথা ব্যাথা করছে বলে আমাদের জানায়। রাতে তার কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে আমরা তার স্বামী ও পুলিশকে খবর দেয়। তারা এসে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান।
এ সময় মরদেহের হাতে একটি চিঠিতে লেখা ছিল- ‘আমার মুত্যুর জন্য আমি নিজেই দায়ী। আমার ক্যান্সার হয়েছে। তাই আমি আমার জীবনের সঙ্গে আর কাউকে জড়াতে চাই না। আমি আমার জীবনটা নিজের হাতে শেষ করে ফেললাম। এর জন্য কেউ দায়ী নয়।’
জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। (জাগো নিউজ)
বার্তা কক্ষ
৭ জানুয়ারি,২০১৯