দেশের ছাপা পত্রিকাগুলোকে স্বাধীনভাবে সংবাদ প্রচারের ক্ষেত্রে সরকার কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করছে না বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। সরকার এ খাতের মানোন্নয়নের লক্ষ্যে নানামুখী কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে বলেও জানান তিনি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, সংবাদপত্র ও সাংবাদিক বান্ধব বর্তমান সরকার সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায় খুবই আন্তরিক। প্রিন্ট মিডিয়ায় স্বাধীনভাবে সংবাদ প্রচারের ক্ষেত্রে বর্তমান সরকার কোনো রকম হস্তক্ষেপ করছে না।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) সংসদে জাতীয় পার্টির এমপি সৈয়দ আবু হোসেনের টেবিলে উপস্থাপিত তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে ২০১৫-১৬ থেকে ২০২৩ সালের মে পর্যন্ত সারাদেশে অসুস্থ, অসচ্ছল ও দুর্ঘটনায় হতাহত ৩ হাজার ২৩৯ জন সাংবাদিক ও সাংবাদিক পরিবারের মাঝে ২৮ কোটি ৭৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা কল্যাণ অনুদান বিতরণ করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, ২০১৯-২০ অর্থবছর থেকে ২০২৩ সালের মে পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর করোনাকালীন বিশেষ সহায়তার অংশ হিসেবে সারাদেশে ৯ হাজার ৪৩৩ জন সাংবাদিক ও সাংবাদিক পরিবারের মাঝে ১০ হাজার টাকা করে মোট ৯ কোটি ৪৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর করোনাকালীন বিশেষ সহায়তার এ কার্যক্রম এখনো চলমান।
তিনি আরও বলেন, জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা ২০১৭ (সংশোধিত-২০২২) মোতাবেক তথ্য অধিদপ্তর ক্ষমতাপ্রাপ্ত হয়। সরকার অনুমোদিত মূলধারার ১৮৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টালের মধ্যে ১৭৯টি এবং ১৭৭টি দৈনিক পত্রিকার অনলাইন পোর্টালের মধ্যে ১৫৫টি পোর্টালকে নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে। এছাড়া একই সময়ে ১৫টির মধ্যে ১৪টি টিভি চ্যানেলের অনলাইন পোর্টালকে নিবন্ধন সনদ দেওয়া হয়েছে।
ড. হাছান বলেন, তথ্য অধিদপ্তর থেকে প্রেস অ্যাক্রেডিটেশন নীতিমালার আলোকে সাংবাদিকদের প্রেস অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড ইস্যু করা হয়ে থাকে। সাংবাদিকদের কল্যাণে তথ্য অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে সচিবালয় বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের জন্য গণমাধ্যম কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। সংবাদ পাঠানোর সুবিধার্থে গণমাধ্যম কেন্দ্রে কম্পিউটার, ইন্টারনেট সংযোগ এবং টিভিসহ অন্য সরঞ্জামাদি দেওয়া হয়েছে। বিশেষত সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের মানোন্নয়নে প্রেস কাউন্সিল সাংবাদিকদের জন্য বছরব্যাপী প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, হলুদ সাংবাদিকতা পরিহার করে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের লক্ষ্যে সেমিনার বা মতবিনিময় সভা আয়োজনের মাধ্যমে সাংবাদিকদের অধিকতর সচেতন করার কার্যক্রম চলমান। সাংবাদিকদের জন্য ফ্ল্যাট প্রকল্পে ভূমি বরাদ্দ দিতে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) চেয়ারম্যান, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) চেয়ারম্যান, রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (আরডিএ) চেয়ারম্যান এবং খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কেডিএ) চেয়ারম্যান বরাবর চিঠি দেওয়া হয়েছে।
টাইমস ডেস্ক/ ১৫ জুন ২০২৩