শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সংসদে জানিয়েছেন, এমপিওভুক্তির জন্য তালিকাভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে যে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের নামের সঙ্গে বিতর্কিত কিংবা স্বাধীনতাবিরোধী কোনো ব্যক্তির নামের সম্পৃক্ততা রয়েছে, সে সকল প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
২৭ জানুয়ারি সোমবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে এ সংক্রান্ত প্রশ্নটি উত্থাপন করেন সংসদ সদস্য শামীমা আক্তার খানম।
লিখিত জবাবে মন্ত্রী আরো জানান, এটি অত্যন্ত দুঃখজনক যে, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর প্রাক্কালে এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকার্য চলমান থাকা সত্তে ও বাংলাদেশের কোন কোন অঞ্চলে কোন কোন প্রতিষ্ঠান এখনও এধরণের বিতর্কিত ব্যক্তিদের নাম রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সকলকে এ বিষয়ে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানান মন্ত্রী।
জাতীয় পার্টির সদস্য মো. ফখরুল ইমামের প্রশ্নের লিখিত জবাবে দীপু মনি জানান, মাধ্যমিক স্তরের নবম-দশম শ্রেণিতে গ্রুপ বা বিভাগ না রাখার চিন্তা ভাবনা চলছে। এক্ষেত্রে দশম শ্রেণি পর্যন্ত সকল শিক্ষার্থী একই বিষয়ের উপর শিক্ষা অর্জনের মাধ্যমে তাদের ভিতকে মজবুত করে একাদশ শ্রেণী থেকে গ্রুপ বা বিভাগ ভিত্তিক লেখাপড়া করার সুযোগ থাকবে।
একই প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, তথ্য অধিকার আইন বিষয়ক বিষয়স্তু ৮ম শ্রেণির তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, ৯ম-১০ম শ্রেণির তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, ৯ম-১০ম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এবং ৯ম শ্রেণীর পৌরনীতি ও নাগরিকতা বিষয়ের পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাক্রম পরিমার্জনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী জানান, বর্তমান সরকারের গত আমলে শিক্ষা আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ নিয়োগ করার ক্ষেত্রে বিলম্বের কারণে আইন প্রণয়ন করা সম্ভব হয়নি। তবে আশা করা যায়, অবিলম্বে শিক্ষা আইনের খসড়া মন্ত্রিপরিষদের অনুমোদন সাপেক্ষে সংসদে উপস্থাপন করা সম্ভব হবে।
বার্তা কক্ষ,২৭ জানুয়ারি ২০২০