লাইফস্টাইল

স্বাদে ও পুষ্টিগুণে অনন্য মাশরুম

খেতে সুস্বাদু মাশরুম পুষ্টিগুণেও অনন্য। নিয়মিত মাশরুম খেলে শরীর থাকবে সুস্থ। জেনে নিন সবজিটির উপকারিতা সম্পর্কে।

মাশরুমে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, প্রোটিন, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, ভিটামিন ডি, মিনারেল, অ্যামাইনো অ্যাসিড, অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে।

১.মাশরুমে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকায় তা রক্তশূন্যতাজনিত সমস্যা দূর করতে পারে।
২.মাশরুম রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে। তাই এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী।
৩.মাশরুমে রয়েছে পটাসিয়াম, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
৪.কোলেস্টেরল কমানোর অন্যতম উপাদান এরিটাডেনিন, লোভাস্ট্যাটিন, এনটাডেনিন, কাইটি রয়েছে মাশরুমে। তাই ৫.মাশরুমকে খাদ্য তালিকায় রাখলে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৬.মানুষের শরীরের দুটি প্রয়োজনীয় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট পলিফেনল ও সেলেনিয়াম রয়েছে মাশরুমে। এগুলো স্ট্রোক,নার্ভের রোগ এবং ক্যানসার থেকে শরীরকে রক্ষা করতে সহায়তা করে। মূলত স্তন ক্যানসার এবং প্রস্টেট ক্যানসার প্রতিরোধ করতে মাশরুমের কোনও তুলনা নেই।
৭.ক্যালসিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকায় হাড়ের শক্তি বৃদ্ধিতে ও গাঁটের ব্যথা কমাতে মাশরুমের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে।
৮.মাশরুমে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়।
৯.সুন্দর ত্বক পেতে চাইলে খেতে পারেন মাশরুম, কারণ এটি ত্বককে নরম রাখতে সাহায্য করে।
১০.মাশরুমে থাকা এনজাইম খাবার হজম করায় ও অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার কাজ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
১১.বয়সজনিত কারণে যে স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার রোগ প্রতিরোধ করে মাশরুম।
১২.নিয়মিত মাশরুম খেলে হেপাটাইটিস বি ও জন্ডিস প্রতিরোধ করাও সম্ভব।
১৩.মাশরুমে সোডিয়ামের পরিমাণ খুব কম, এটি কিডনি-সংক্রান্ত রোগ হওয়া থেকেও বাঁচাতে পারে।

Share