স্বস্তিকার আত্মহত্যা চেষ্টা : নেপথ্যে সুমনের সাথে পরকীয়া

চাঁদপুর টাইমস নিউজ ডেস্ক :

আত্মহত্যা! নাকি কেবল দুর্ঘটনা? হাসপাতালে ভোররাতে রক্তাক্ত কবজি নিয়ে ভর্তি হলেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। ওয়াইন গ্লাসের কাচ কবজিতে ঢুকে গিয়ে হাতের অবস্থা শোচনীয়। কিন্তু যখনই এই খবর শহুরে হাওয়ায় ছড়িয়ে পড়ল তখনই শুরু হল জল্পনা-কল্পনা। স্বস্তিকা নাকি কিছুদিন ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছেন।

টলিউডে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে একদিকে ক্যারিয়ার, তো অন্যদিকে পারিবারিক, বিশেষ করে ব্যক্তিগত সমস্যায় জর্জরিত হয়েই স্বস্তিকার এ রকম পদক্ষেপ নেওয়া। তবে সত্য-মিথ্যার ভিতের না ঢুকে, যে খবর আপাতত বাইরে এসেছে তা হলো, এক পার্টিতে ওয়াইনের গ্লাস ভেঙেই আহত হন স্বস্তিকা। মানসিক অবসাদ স্বস্তিকার থাকলেও, আত্মহত্যা হয়ত নয়।

তবে রাত কাটতেই অন্য খবর চমকে দিল গুঞ্জনকে। জানা গেল, স্বস্তিকার হাত কেটে যাওয়া এবং পরিচালক সুমন মুখোপাধ্যায়ের গ্রেপ্তারের ঘটনা যেন এক সূত্রেই গাঁথা। আহত হলেন স্বস্তিকা অন্যদিকে হোটেলের লোকজনদের মারধর করার অভিযোগে গ্রেপ্তার হলেন এই পরিচালক। শুরু হল নতুন গুঞ্জন। তাহলে কি এবার স্বস্তিকা-সুমন সর্ম্পক?

একটু পিছনে ফিরে তাকানো যাক। বিবাহ বিচ্ছেদের পরে টলিউডে পা দিয়ে বহু সর্ম্পকের সঙ্গেই যুক্ত হয়ে পড়েন স্বস্তিকা। প্রথমে এ ব্যাপারে অভিনেতাদেরই বেশি পছন্দ ছিল স্বস্তিকার। ক্যারিয়ারের প্রায় শুরুর দিকে অভিনেতা জিতের সঙ্গে শুরু হয়েছিল প্রেমালাপ। তবে সে প্রেম টেকেনি বেশিদিন। তার পরই স্বস্তিকার জীবনে এন্ট্রি নিল পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। প্রায় তিন বছর ধরে সর্ম্পক চলার পর সম্পর্কচ্ছেদ। পরম-স্বস্তিকার সর্ম্পক নিয়ে ‘জলঘোলা’ হয়েছিল প্রচুর। স্বস্তিকার স্বামী প্রমিত সেন পরমব্রতের নামে আদালতে মামলাও করেছেন নানা কারণে। এমনকি শোনা গিয়েছিল টাকা-পয়সা নিয়েই প্রমিতের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন স্বস্তিকা ও প্রমিত।

সেই প্রেমের পাঠ শেষ হতে না হতেই পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে সর্ম্পক নিয়ে নানা কথাও চাউর হতে শুরু করে টলিপাড়াজুড়ে। এর মধ্যেই সৃজিতের নানা ছবিতে অভিনয় করতে দেখা যায় স্বস্তিকাকে। নিন্দুকরা দুইয়ে দুইয়ে চার করে ফেলেন গোটা স্বস্তিকা-সৃজিত প্রেম ঘটনা। কিন্তু সে প্রেমও টেকে না বেশিদিন। এর মধ্যেই ধীরে ধীরে স্বস্তিকার ক্যারিয়ারে কিছুটা হলেও দৃঢ়তা আসতে শুরু করে। ঝুলিতে আসা বেশ কিছু ভালো ছবির অফার। কিন্তু ব্যক্তিগত দিকটা পড়ে থাকা ফাঁকা।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘শেষের কবিতা’ নিয়ে ছবি তৈরির করার সময়ই পরিচালক সুমন মুখোপাধ্যায়ের কাছে আসেন স্বস্তিকা। এই ছবিতে তাঁকে দেখা যাবে কেটির চরিত্রে। আর তা থেকেই জন্ম নয়, নতুন সর্ম্পক। নিউ ইয়র্ক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রশংসিত হয় ‘শেষের কবিতা’। সেই খুশির পার্টিতেই এসেই ওয়াইন গ্লাস ভেঙে আহত হওয়ার কাণ্ড।

স্বস্তিকার বোন অজপার কথা অনুযায়ী, ‘পার্টিতে হঠাৎই স্বস্তিকা পড়ে যায়। ওঁর হাতে ওয়াইন গ্লাস ছিল। আর তা থেকেই এই দূর্ঘটনা।’ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও এই ব্যাপারে মুখে কুলুপ এঁটেছেন। তবে হোটেল কর্তৃপক্ষের কথা অনুযায়ী, সুমন মুখোপাধ্যায় মদ্যপ অবস্থায় মারধর করেন হোটেলের কর্মচারীদের। আর স্বস্তিকা সে ঘটনাতেই আহত হন। তবে সুমন-স্বস্তিকার বচসার কথা কেউ সোজাসাপটা বলতে না চাইলেও, ঘটনার ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে সেই রকমই।

Share