চাঁদপুরে অযাচক আশ্রমে স্বামী স্বরূপানন্দ পরমহংসদেবের জন্মোৎসব উদযাপনে আবারো একই স্থানে এবং একই দিন ও সময়ে দু’টি সংগঠন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
আয়োজনকে ঘিরে এরইমধ্যে উভয় পক্ষই ভিন্ন ভিন্নভাবে দাওয়াত পত্র ও অনুষ্ঠান সূচি বিলি করেছে। এতে করে দু’সংগঠনের মধ্যে আবারো সংঘর্ষের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
আর এ নিয়ে স্বামী স্বরূপানন্দ’র সাধারণ ভক্তদের মাছে ভয় ও চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। সাধারণ ভক্তদের অভিমত গত বছর একই স্থানে দুই সংগঠনের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে এক পক্ষে হামলায় বিভিন্ন জেলা থেকে আগত সাধারণ ভক্তসহ বেশ ক’জন আহত হয়ে। পরবর্তিতে আহত সাধারণ ভক্তরা চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে মানববন্ধন করে।
‘অযাচক আশ্রম ও বাংলাদেশ অখÐ সংগঠনের সেবক-সেবিকাবৃন্দ’ জানান, দীর্ঘ ২০ ধরে তারা চাঁদপুর শহরের পুরাণ আদালত পাড়াস্থ অযাচক আশ্রমে স্বামী স্বরূপানন্দ পরমহংসদেবের শুভ জন্মোৎসব পালন করে আসছে। জন্ম উৎসব উদযাপনে কয়েক বছর তারা ২দিনব্যাপি ব্যাপক অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে। কিন্তু গেল বছর-ই প্রথম ‘বাংলাদেশ অখÐ সংগঠনের সেবক-সেবিকাবৃন্দ’ কতৃক নিয়োগকৃত আশ্রমের সেবায়েত কবিরাজ সুখরঞ্জণ ব্রাহ্মচারীর নেতৃত্বে ‘চাঁদপুর অযাচক আশ্রম ও বাংলাদেশ সম্মিলিত অখÐ সংগঠন’র সেবক সেবিকাবৃন্দ নামের অন্য আরেকটি সংগঠন একই দিনে এবং একই সময়ে ভিন্নভাবে দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে।
এতে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে সাধারণ ভক্তরা এলে অপর সংগঠন ‘ চাঁদপুর অযাচক আশ্রম ও বাংলাদেশ সম্মিলিত অখন্ড সংগঠনের সেবক-সেবিকাবৃন্দ’র লোকজন তাদের উপর হামলা চালায়। এতে বেশ কজ’ন আহত হয়। পরবর্তিতে আগত ভক্তরা এই ঘটনার বিচারের দাবিতে চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে।
তারা আরো জানান, অযাচক আশ্রমের সেবায়েত সুখরঞ্জন বাহ্মচারী এক চেটিয়া স্বেচ্ছাচারিতা এবং উৎসব উদযাপন করে আসা আগের কমিটিকে বাদ দিয়ে বিভিন্ন কর্মকান্ড পরিচালনা করায় বর্তমানে আশ্রমের ভক্তদের মাঝে বিভক্তি দেখা দেয়।
এদিকে গতবছর বিষয়টি প্রশাসনের দৃষ্টিগোচর হলে দু’ই কমিটির নেতৃবৃন্দকে ডেকে ততকালিন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট তাদের একসাথে উৎসব করার নির্দেশ দেন। এছাড়াও ওই অনুষ্ঠানটি যাতে কোনো ব্যানার বা কোনো সংগঠনের নামে না করা হয় সেই নির্দেশনা দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, একটি সূত্র থেকে জানা যায়, অযাচক আশ্রম বাংলাদেশ ন্যাস পরিচালনা পরিষদ কতৃক চাঁদপুর অযাচক আশ্রমের অধ্যক্ষ কবিরাজ সুখরঞ্জণ ব্রাহ্মচারীকে বিভিন্ন অনিয়মের কারণে পরপর দুই বার কারণ দর্শানের নোটিশ করা হয়। কিন্তু তিনি এর উত্তর না দেয়ায় ওনাকে কেন্দ্র থেকে বহিষ্কৃত করা হয়।
এই বিষয়ে সুষ্ঠ সমাধান ও দেশের অন্যান্য জেলা থেকে সাধারণ ভক্তরা যাতে চাঁদপুর অযাচক আশ্রমে নির্ভয়ে আসতে পারে সেজন্য চাঁদপুরের প্রশাসনের কাছে সুদৃষ্টি কামনা করেছেন সাধারণ ভক্তরা।
প্রতিবেদক- আশিক বিন রহিম
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ২:০০ পিএম, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৭, রোববার
ডিএইচ