সারাদেশ

স্বপরিবারে ৬ জনের ইসলাম গ্রহণ : ৩ মন মিষ্টি বিতরণ

ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার হাটফাজিলপুর গ্রামে সোমবার (১৭ এপ্রিল) আনন্দ সরকার ও তার পরিবারের ৫ সদস্য মিলে ইসলাম গ্রহণ করেছেন।

এ ঘটনায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান খুশিতে এলাকায় ৩ মন মিষ্টি বিতরণ করেছেন বলে জানা গেছে।

আনন্দ সরকারের বর্তমান নাম ওসমান গণি(৫০), স্ত্রি দিপালী রানী থেকে রাবেয়া বসরী(৪০), ছেলেদের বর্তমান নাম ওলিউল্লহ(২৫), সুমন (২২), রানা(১২) ও ওমর আলী(৪) সহ ৬সদস্যকে নিয়ে সনাতন ধর্ম ছেড়ে স্বেচ্ছায় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন।

এলাকা বাসী সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ তিন মাস পূর্ব থেকে আনন্দ সরকার স্বপরিবার নিয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার ঘোষনা দেয়। স্থানিয় বিভিন্ন লোকের কাছে সহযোগিতা চাইলে ধর্ম পরির্বতনের কোন সহযোগিতা না পেয়ে নিরুপায় হয়ে হাটফাজিলপুর মানব কল্যাণ দাতা সংস্থার সদস্যদের নিকট স্বরনাপন্ন হয়।

তখন সংস্থার সদস্যরা স্থানীয় চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন বিশ্বাসকে বিষয়টি অবগত করলে তিনি এই সংস্থার সদস্যদের উপর সমস্থ দায়িত্ব অর্পন করেন। দাতা সংস্থার সদস্যরা আনন্দ সরকারের স্বপরিবারের সদস্য নিয়ে গত ১৬ এপ্রিল ঝিনাইদহ জেলা নোটারী পাবলিকের কার্যলয়ে উপস্থিত হয়ে এভিডেভিটের এর মাধ্যমে সনাতন ধর্ম ছেড়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে।

এদিকে এই ঘটনা গ্রামে পৌছানোর আগেই এলাকায় জানা জানি হলে তার বাড়িতে শতশত লোকের সমাগম ঘটে। তাৎক্ষনিক স্থানিয় চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন বিশ্বাস মানব কল্যাণ দাতা সংস্থার সদস্য নিয়ে হাটফাজিলপুর বাজার জামে মসজিদের ঈমাম হাফেজ মাওলানা মোঃ ইদ্রিস আলীকে দিয়ে তওবা ও কালেমা পাঠ করিয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করায়।

এ সময় স্থানীয় জনগণের সহযোগিতায় মানব কল্যাণ দাতা সংস্থার সদস্যদের মাধ্যমে নব মুসলিম ওসমান গনির পরিবারের সদস্য দের কে পাঞ্জাবী, পাইজামা, বোরকা, টুপি, তজবী, কুরআন ও চাল ডাল সহ পরিবারের সমস্ত আসবাবপত্র কিনে দেয় বলে মানব কল্যাণ দাতা সংস্থার সভাপতি আব্দুল রাজ্জাক মোল্লা জানিয়েছেনঃ।

এই ব্যাপারে নব মুসলিম ওসমান গনির স্ত্রি রাবেয়া বেগম সাংবাদিকদের জানান, দীর্ঘ তিন বছর আগে তাদের বাড়িতে হঠাৎ একজন আলেম ব্যক্তি উপস্থিত হয়ে নামাজ আদায় করতে চায় তখন সে দিশেহারা হয়ে মাটি দিয়ে তার ঘরের বারান্দার এক পাশে লেপে দেয় এবং বাক্স থেকে একটা নতুন চাদর এনে দিয়ে তাকে নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা করে দেয়।

নামাজ শেষে উপস্থিত আলেম ব্যক্তির পরিচয় জানতে চাইলে তিনি নাকি বলেছেন ‘আমার বাড়ি ওপারে’ এ বরে ও আগন্তুক ব্যক্তি চলে যায়। চলে যাবার কিছু সময় পরে তাকে অনেক খোঁজা খুঁজি করে এলাকার কোথাও পাওয়া যায়নি। তখন থেকেই আনন্দ সরকারের সদস্যরা ইসলাম ধর্মের প্রতি অনুগত হয়ে পড়েন এবং ইসলাম গ্রহণ করেন।

ঘটনাটি আনন্দ সরকারের স্ত্রী ও তার সব আত্বীয় সজনদেরকে জানালে তারা কেই বাধা প্রদান করেনি।

হাটফাজিলপুর বাজারে শতশত লোকের উপস্থিতে সনাতন ধর্ম ছেড়ে তওবা ও কালেমা পাঠ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে।

এ ব্যাপারে স্থানীয় চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন বিশ্বাস জানান আমার উপস্থিতেই তারা স্বপরিবারে মিলে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে। তখন আমি প্রায় ৩ মন মিষ্টি উৎসুক জনতার মাঝে বিতরন করি। ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।

প্রতিবেদক- জাহিদুর রহমান তারেক, ঝিনাইদহ
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১: ১৩ এএম পিএম, ১৯ এপ্রিল ২০১৭, বুধবার
ডিএইচ

Share