স্পিডবোট দুর্ঘটনায় চালক-মালিকসহ ৪ জনের নামে মামলা

মাদারীপুরের শিবচরে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটের কাঁঠালবাড়ি ঘাটসংলগ্ন এলাকায় স্পিডবোট ও বালুবোঝাই বাল্কহেডের সংঘর্ষে ২৬ জন নিহতের ঘটনায় মামলা করা হয়েছে।

সোমবার রাতে নৌপুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) লোকমান হোসেন বাদী চারজনের নাম উল্লেখ করে শিবচর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। এ মামলায় আরও সাত-আট জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

মামলার আসামিরা হলো, স্পিডবোটচালক শাহ আলম, মালিক চান্দু মোল্লা ও রেজাউল এবং বোটের ইজারাদার শাহ আলম।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নৌপুলিশের ওসি মো.আব্দুর রাজ্জাক।

সোমবার সকাল ৭টর দিকে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া থেকে ৩০ জনের মতো যাত্রী নিয়ে একটি স্পিডবোট মাদারীপুরের শিবচরের বাংলাবাজার ঘাটে যাচ্ছিল। একটি বালুবাহী বাল্কহেডের সঙ্গে সংঘর্ষের পর বোটটি উল্টে ডুবে যায়।এতে ৩ শিশুসহ ২৬ জন মারা গেছেন। আহতাবস্থায় উদ্ধার করা হয় পাঁচজনকে।

স্পিডবোট দুর্ঘটনায় নিহত ২৬ জনের পরিচয় জানা গেছে এরা হলো- খুলনার তেরো খাদার একই পরিবারের মনির মিয়া ও তার স্ত্রী হিনা বেগম, দুই মেয়ে রুমি আক্তার ও সুমী আক্তার। ফরিপুরের বোয়ালমারী উপজেলার ইয়ামিন (২), বরিশাল বন্দরের আনোয়ার চৌকিদার (৫০), মাদারীপুরের শ্রীনদীর মাওলানা আঃ আহাদ, চাঁদপুরের মতলব উত্তরের মো. দেলোয়ার হোসেন।

নড়াইল লোহাগড়ার যুবায়ের মোল্লা (৩০), কুমিল্লার তিতাস থানার জিয়াউর রহমান (৩৮), কুমিল্লার দাউদকান্দির কাউসার আহমেদ (৪০), কুমিল্লার দাউদকান্দির রুহুল আমিন (৩৫), মাদারীপুরের শিবচরের শাহাদাত হোসেন (৪২), মুন্সীগঞ্জের সাগর শেখ (৪১), ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার আরজু সরদার (৪০), মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার তাহের মীর (৩৫), বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জের সাইদুর হোসেন (২৭), বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জের রিয়াজ হোসেন (৩৩), ঢাকা পীরেরবাগ ছাপরা মসজিদ এলাকার খোরশেদ আলম, ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার নাসিরউদ্দিন (৪৫), পিরোজপুর সদরের বাপ্পি (২৮), ভান্ডারীয়ার জনি অধিকারী (৩৫), বরিশালের মনির হোসেন (৩৫), বরিশালের আলাউদ্দিন (৪৪)।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (বিকাল ৫টা) স্বজনদের দেখানো মতে সব মৃতদেহ শনাক্ত করা গেছে। স্বজনদের কাছে মরদেহগুলো হস্তান্তর করা হয়েছে বলে কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমির হোসেন সেরনিয়াবাদ নিশ্চিত করেছেন।

স্টাফ করেসপন্ডেট

Share