Sunday, 05 April, 2015 01:55:56 PM
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
স্বামীর হাতে স্ত্রীর নির্যাতনের ঘটনা তো হরহামেশাই শুনে থাকি। সম্প্রতি স্ত্রীর হাতেও স্বামী নির্যাতনের ঘটনাও শোনা যাচ্ছে। তাই বলে রীতিমতো বন্দীশালায় রেখে স্বামীকে নির্যাতন! ঘটনাটি বেশ আশ্চর্যজনকই নয়, মর্মান্তিকও বটে।
পাকিস্তানের লাহোরে সৈয়দ আলী রেজাকে আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে তার নববিবাহিত স্ত্রী মাহউইশ ওরফে মাহির বিরুদ্ধে। এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে লাহোরের অতিরিক্ত জেলা জজ নাভেদ ইকবাল গত শনিবার আলী রেজাকে তার স্ত্রীর ‘বন্দিশালা’ থেকে মুক্তি দিয়েছেন।
বিচারকের কাছে মাহিকে নিজের স্ত্রী উল্লেখ করে আলী রেজা বলেন, মাহির বাড়ির একটি কক্ষে তাকে সবসময় আটকে রাখা হতো। তাকে তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করা বা কথা বলার অনুমতি দেওয়া হতো না। প্রায়ই মাহি ও তার চাকর তাকে চড়-থাপ্পড় মারতেন বলেও জানান রেজা।
রেজা জানান, তিনি সবসময় জীবননাশের ভয়ে থাকতেন। মাঝে মাঝে তাকে পুলিশ স্টেশনে নেওয়া হতো। সেখানে মাহির সামনেই কর্মকর্তারা তাকে চড় মারতেন।
কিছুদিন আগে রেজার বড়ভাই সৈয়দ ওয়াসিম আব্বাস আদালতে একটি পিটিশন দায়ের করেন। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, রেজার কর্মী মাহি তাকে আটকে রেখেছে। তাকে কর্মক্ষেত্রের বাইরে যেতে দেওয়া হচ্ছে না এবং নির্যাতন করা হচ্ছে।
এদিকে, নিজেকে রেজার কর্মী নয়, বরং স্ত্রী হিসেবে দাবি করেছেন মাহি। সাত মাস আগে রেজার সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি।
মাহির বাসা থেকে রেজাকে উদ্ধার করার সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাদের কাছে নিজেকে চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি তার স্বামীর সঙ্গে থাকতে চান বলে জানিয়েছেন।
বিচারকের সামনে শনিবার মাহির বন্দীশালা থেকে মুক্তি চান রেজা। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাকে মুক্তি দিয়ে ভাই আব্বাসের সঙ্গে যাওয়ার অনুমতি দিয়ে পিটিশনটির মীমাংসা করেন।
তবে রেজা যদি তার স্ত্রীর নির্যাতনের বিরুদ্ধে আলাদা মামলা করতে চান তবে তা আমলে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে আদালত।
চাঁদপুর টাইমস : এমআরআর/2015