নিজ স্ত্রীকে বন্ধুর কাছে বন্ধক রেখে ৩০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছেন এক যুবক। পরে ওই ঋণদাতা বন্ধুকেই হত্যা করে নিজ স্ত্রীকে উদ্ধার করছে সে। ভারতের চণ্ডীগড়ের যমুনানগরে এ ঘটনা ঘটে।
প্রায় দু সপ্তাহ আগে খুন হন স্থানীয় বাসিন্দা মোহম্মদ গোলাম। তদন্তে নেমে পুলিশের সামনে খুলে গেল এই হত্যার রহস্য।
জানা গেছে, বিহারের আরা জেলার বাসিন্দা মোহম্মদ গোলাম গত আড়াই বছর ধরে যমুনানগরে বাস করছিলেন। তিনি পেশায় ছিলেন তুলা ব্যবসায়ী। চলতি বছরের জানুয়ারিতে তিনি ৩০ হাজার টাকা ধার দেন বন্ধু সাবির আলিকে। সাবির নিজেও আদতে বিহারের বাসিন্দা।
পুলিশকে সে সাবির জানিয়েছে‚ টাকা ধারের বিনিময়ে বন্ধু গোলামের কাছে সে বন্ধক রেখেছিল বৌ সালমাকে। সাবির টিফিন যোগানের কাজ করত। স্ত্রী সালমার রান্না করা খাবারই ছিল ব্যবসার মূলধন। এমনকী‚ গোলাম নিজেও এই খাবার বেশ কয়েকবার খেয়েছে। টাকা ধার দেওয়া-নেওয়ার শর্ত হিসেবে সালমা চলে যায় স্বামীর বন্ধু গোলামের বাড়ি।
এরপর সালমাকে নিয়ে থাকতে শুরু করে গোলাম। দুজনে মিলে যায় বিহারে গোলামের দেশের বাড়ি। বেড়াতে যায় হিমাচল প্রদেশেও। অক্টোবর মাসে ৩০ হাজার টাকা বন্ধুকে শোধ দেয় সাবির কিন্তু অভিযো‚ এরপর আরও ২০ হাজার টাকা সুদ চেয়ে বসে ৩৫ বছর বয়সী গোলাম। নইলে সালমাকে ফেরত দিতে অস্বীকার করে। সেই সুদের টাকাও গোলামকে দেয় সাবির। কিন্তু অভিযোগ‚ তারপরেও ‘ বন্ধকী’ বন্ধুপত্নীকে ফেরত দিতে অস্বীকার করে গোলাম।
এরপরই সাবির এবং সালমা মিলে গোলামকে খুনের ছক কষে। ষড়যন্ত্রে সামিল হয় সাবিরের দুই বন্ধু আখতার এবং গৌতম। অভিযোগ‚ পরিকল্পনা মতো সালমা বাড়ির বাইরে বের করে নিয়ে আসে গোলামকে। তারপর সুযোগ বুঝে গোলামকে প্রথমে শ্বাসরোধ‚ পরে পিটিয়ে হত্যা করে সাবির ও তার দুই সঙ্গী।
পুলিশ জানিয়েছে‚ স্ত্রীকে বন্ধক চাওয়ার সময় সাবির কোনও অভিযোগ জানায়নি। এমনকী‚ স্ত্রী সালমা যখন ছিল বন্ধুর কাছে‚ তখন সাবির তার তিন শিশু সন্তানকে নিয়ে নানা স্থানে ঘুরে বেরিয়েছে। খুনের অভিযোগে সাবির‚ তার স্ত্রী সালমা এবং বন্ধু আখতারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
নিউজ ডেস্ক ।। আপডেট: ০৭:৪৫ পিএম, ১৭ নভেম্বর ২০১৫, মঙ্গলবার
ডিএইচ