প্রতিটি ঘটনা বা দুর্ঘটনার বেশ কিছু আলামত বা চিহ্ন বিদ্যমান থাকে। সেই সূত্রানুযায়ী, প্রেমে পড়ার পরও কিছু আলামত দেখতে পাওয়া যায় প্রেমিক-প্রেমিকাদের ক্ষেত্রে। তা কী রূপে বিকশিত হয়, তারই বর্ণনা করা হলো নিচে!
প্রেমিকের ক্ষেত্রে
১. ফোন বিল বেড়ে ঠিক যেন এভারেস্ট চূড়ায় পৌঁছায়! এই প্রেম হওয়ার আগ পর্যন্ত ফোন বিল নাগালের মধ্যে থাকলেও প্রেমে পড়ার পর উভয়ের ফোন বিলের দায়িত্ব শুধু ওই প্রেমিকেরই সামলাতে হয়।
২. ‘ভাঙানো মেশিনে’ পরিণত হতে হয়, আরে বুঝলেন না? প্রেমিকার ছোটখাটো মান-অভিমান থেকে শুরু করে লজ্জা ভাঙানোটাও অনেক গুরুত্বের সঙ্গে করতে হয়।
৩. ঝাড়ি খাওয়ায় অভ্যস্ত হয়ে যায়, ডেটিংয়ে দেরিতে পৌঁছানো থেকে শুরু করে কোনো কিছুই দেরিতে করলে প্রেমিকার ঝাড়ি অনিবার্য।
৪. রেস্টুরেন্ট + শপিং + পার্ক + রিকশা + চায়নিজ, বাদাম, ফুচকার বিল দিতে দিতে ফতুর হতে হয় মহান প্রেমিককেই !
৫. কাটিং করে সেটিং বা ফিটিং করাটা শিখে যায়, প্রেমিক বাবার পকেট কাটিং করে কীভাবে প্রেমিকার আবদারগুলো সেটিং করতে হয়, তা তখন খুব ভালো করেই শিখে যায়।
প্রেমিকার ক্ষেত্রে
১. ন্যাকামিটা বেড়ে অস্থির রকমের মাত্রায় গিয়ে পৌঁছায়। এর কোনো চিকিৎসা নেই।
২. হালকার ওপর ঝাপসা বাচ্চাদের মতো কথা বলা রপ্ত করে ফেলেন প্রেমিকাগণ, প্রেমে পড়ার পর। যেমন—ওলে আমাল বাবু লে!
৩. রেস্টুরেন্ট, ডেটিং, শপিংয়ে যাওয়ার মাত্রা কয়েকগুণ বেড়ে যায়।
৪. টালবাহানার কোনো শেষ থাকে না, কেমন জানি, কোনো কিছু নিয়েই টালবাহানা করার হরেক রকম যুক্তি খাড়া করে দেয় প্রেমিকাগণ।
৫. ফোন ওয়েটিং থাকাটা একেবারে কমন ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়, সময়ে-অসময়ে প্রেমিকাদের ফোন ওয়েটিং পাওয়া যায়!
লাইফস্টাইল ডেস্ক : আপডেট, বাংলাদেশ সময় ০৩:০০ পিএম, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬, মঙ্গলবার
ডিএইচ