ছুটির অনুমোদন ছাড়া যেসব শিক্ষক স্কুলে অনুপস্থিত তাদের তালিকা প্রতিদিন জানাতে নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। রোববার মাউশি থেকে এ বিষয়ে মৌখিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ সংক্রান্ত ইস্যু করা চিঠিতে সই করেছেন মাউশির ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক এ.এস.এম আব্দুল খালেক।
মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবিতে ১১ জুলাই থেকে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে টানা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষকরা। এ আন্দোলন চলার মধ্যেই রোববার এ নির্দেশনা দেয়া হলো।
শিক্ষক নেতারা বলছেন, এটা আন্দোলন ঠেকাতে সরকারের কৌশল।
রাজধানীতে টানা অবস্থান কর্মসূচি পালনকারী শিক্ষকদের বিষয়ে অনেকটা হঠাৎ করেই হার্ড লাইনে গেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। রোববার স্কুল খুললেও ক্লাসে ফিরে যাবেন না বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। তারা প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ চান।
আজ আরেক চিঠিতে ছুটির অনুমোদন ছাড়াই স্কুলে অনুপস্থিত থাকায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ৩৪ জন শিক্ষককে কারণ দর্শাতে (শোকজ) বলেছে মাউশি। শোকজের চিঠিতে বলা হয়, জুন মাসে দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ডিজিটাল মনিটরিং সিস্টেমের আওতায় মাধ্যমিকের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনকালে ৩৪ জন শিক্ষককে বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়নি। আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে উপস্থিত না থাকার সুস্পষ্ট কারণ মাউশিতে পাঠাতে হবে।
এদিকে, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) আওতায় মাধ্যমিক স্তরের কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একই শ্রেণির একাধিক শাখার শিক্ষার্থীদের এক কক্ষে একসঙ্গে পাঠদানের অভিযোগ এসেছে। বিষয়টি আমলে নিয়ে একই শ্রেণির একাধিক শাখার শিক্ষার্থীদের এক কক্ষে পাঠদান থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছে মাউশি।
২৪ জুলাই ২০২৩
এজি