সারাদেশ

স্কুলশিশুরাই ভ্যানচালক : স্ট্যান্ড না থাকা দুর্ভোগ

মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলা সদরের বাজারটি যেনো এখন ভ্যানের শহরে পরিণত হয়েছে। শত শত ভ্যান জটের কবলে পড়ে পথচারি, ক্রেতা-বিক্রেতা ও স্কুল কলেজের ছেলে-মেয়েসহ সর্বস্তরের মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বাজারটিও দিন দিন হারাচ্ছে তার স্বাভাবিক সৌন্দর্য।

ভ্যানস্ট্যান্ড না থাকায় ভ্যানগুলো বাজারের রাস্তা ও ফুটপাত দখল করে এলোপাতাড়ি দাঁড়িয়ে থাকে। ফলে অন্যান্য যানবাহন ও পথচারিদের চলাচলে বিঘœ সৃষ্টি হওয়ার পাশাপাশি দুর্ঘটনাসহ ভ্যান চালকদের সঙ্গে দোকানদার,সাধারণ মানুষ ও গাড়ি চালকদের ঝগড়া লেগেই থাকে প্রতিনিয়ত।

খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, বর্তমান মোটর চালিত ভ্যানের করণে উপজেলা সদরে ছোট-বড় প্রায় ৫ হাজারের বেশি লোক ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছে। এলাকায় কর্মসংস্থানের বিকল্প সুযোগ না থাকায় দরিদ্র শ্রেণির ব্যাপক অংশের মানুষ এ পেশার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে।

মহম্মদপুরে অনেক কৃষক, দিনমুজুর সংসার চালাতে হিমশিম খেয়ে দিনের একটি সময় মোটর লাগানো ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে। আর অভিভাবকরা এ ভ্যান চালাতে তুলে দেন অপ্রাপ্ত বয়স্ক শিশুদের হাতে যার ফলে দুর্ঘটনার সংখা দিন দিন বেড়েই চলেছে।

ভ্যান চালকদের একটি বড় অংশই অপ্রাপ্ত বয়স্ক। এসময় যাদের স্কুলে থাকার কথা। স্কুল বনচিত এসব শিশু ভ্যান চালকরা নিরুপায় হয়ে পেটের দায়ে বৃদ্ধ মা, বাবা ও সংসারে গ্লানি টানতে অর্থ উপার্জনের অবলম্বন হিসেবে ভ্যান চালানোকে বেছে নিয়েছে।

এক ধরণের ভ্যানের দালাল মাসিক ও সাপ্তাহিক কিস্তির প্রলোভন দেখিয়ে স্কুল পড়–য়া কম বয়সের ছেলেদের এই পেশায় উদ্বুদ্ধ করছে। ফলে এই সব দালালরা নতুন,পুরাতন ভ্যান উচ্চ মুল্যে বিক্রি করে যেমন হাতিয়ে নিচ্ছে প্রচুর টাকা’ তেমনি অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলেদের ঠেলে দিচ্ছে কঠোর শ্রম নির্ভর পেশার দিকে।

ভ্যানজটের কবল থেকে রক্ষা পেতে বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা ও ভ্যান স্টান্ড হওয়া জরুরি বলে মনে করছেন সচেতনরা।

মাগুরা থেকে মো. ইমাম হোসেন : আপডেট বাংলাদেশ সময় ৫:০৫ পিএম, ১৫ মে ২০১৬, রোববার
ডিএইচ

Share