কচুয়া

কচুয়ায় নিখোঁজের ৩দিন পর স্কুলছাত্রীর গলিত লাশ উদ্ধার

চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার ৯নং কড়ইয়া ইউনিয়নের বড়-হায়াতপুর গ্রামে নিখোঁজের ৩ দিনপর কামরুন্নাহার মিশু (১৪) নামে স্কুল ছাত্রীর গলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ২ আগস্ট রোবার দুপুরে তাঁর লাশ পাশ্ববর্তী একটি খালে দেখতে পায় এলাকাবাসী। পরে কচুয়া থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ওই ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর মর্গে প্রেরণ করে।
এর আগে ৩১ জুলাই শুক্রবার বিকালে ওই ছাত্রী বাড়ি সংলগ্ন বিলে ঘাস কাটতে গিয়ে নিখোঁজ হয়।

নিহতের পরিবারের দাবি, তাকে প্রথমত ধর্ষণ করে ওই খালে লাশ ফেলে দেয় দুবৃর্ত্তরা। তার এ ঘটনায় হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী।

সরেজমিনে জানা যায়, কামরুন্নাহার মিশু উপজেলার বড়হায়াতপুর গ্রামের অধিবাসী, সৌদি প্রবাসী মো: আবু হানিফের মেয়ে ও সাদিপুরা- চাঁদপুর এম.এ খালেক স্কুল এন্ড কলেজের নবম শ্রেনীর ছাত্রী। ঘটনার দিন বিকালে পাশ্ববর্তী বিলে ঘাস কাটতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। ওইদিন সে ঘরে না ফেরায় তার পরিবার তাকে খোজতে বিলে যায়। এসময় কামরুন্নাহার মিশু হাতে থাকা কাচি, বোল ও গায়ের ওড়না পরে থাকতে দেখে তা উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে আসে। এ ঘটনায় তার মামা ইকবাল হোসেন পরদিন শনিবার কচুয়া থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরী করেন যার নং- ১২। তারিখ: ০১-০৮-২০২০ ইং।

স্কুলছাত্রী কামরুন্নাহার (মিশু) মা শেফালী বেগম জানান, আমার মেয়ে খুবই শান্ত প্রকৃতির ছিল। সে কোনো ভাবে মারা যেতে পারে না। তাকে কেউ ধর্ষণ করে লাশ খালে ফেলে যায় বলে তিনি দাবি করেন। তিনি আরো বলেন, আমি আমার মেয়ে হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।

কচুয়া থানার ওসি মো: ওয়ালী উল্যাহ অলি জানান, খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ঘটনায় স্কুল ছাত্রী কামরুন্নাহার মিশু’র পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

প্রতিবেদক : জিসান আহমেদ নান্নু, ২ আগস্ট ২০২০

Share