সৌদি আরবের রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযথ মর্যাদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন করা হয়েছে। সকালে দূতাবাস প্রাঙ্গনে এ উপলক্ষ্যে পতাকা উত্তোলন করেন রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ। এরপর রাষ্ট্রদূত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এসময় দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
দিবসটি উপলক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের আত্মার শান্তি কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। দেশ ও জাতির অগ্রগতি কামনা, বাংলাদেশীসহ সকল মুসলমানদের করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব থেকে মুক্তির জন্যও বিশেষ দোয়া করা হয়।
যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি উদযাপন করেছে জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল। কনসাল জেনারেল ফয়সাল আহমেদ জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর কনস্যুলেটের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন। পরে কনস্যুলেট প্রাঙ্গণে জাতীয় শিশু দিবস ও জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে মাননীয় রাস্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী প্রদত্ত বানী পাঠ করে শোনানো হয়। বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের উপয নির্মিত ফ্লিমস এন্ড পাবলিকেশন কতৃর্ক আয়োজিত একটি প্রমান্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয় ।
এদিকে গভীর শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে অবস্থিত বাংলাদেশ জাতীয় কারিকুলাম অনুযায়ী পরিচালিত বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে।
বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাস আতঙ্কে স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় এবং সভা সমাবেশে মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা থাকার কারণে প্রতিবারের মতো বৃহত্তর পরিবেশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীর আয়োজন করা সম্ভব না হলেও বিদ্যালয়ের বোর্ড অব ডাইরেক্টর্সের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মোস্তাক আহম্মদের পরামর্শ মোতাবেক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সংক্ষিপ্ত পরিসরে শিক্ষকদের উপস্থিতিতে জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপিত হয়।
এ উপলক্ষে অধ্যক্ষ জাতির পিতার বর্ণাঢ্য কর্মময় রাজনৈতিক জীবনের সংক্ষিপ্ত ইতিবৃত্ত তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের জন্ম হতো কিনা তা অত্যন্ত প্রশ্ন সাপেক্ষ। তিনি আজন্ম মাটি ও মানুষের জন্য সংগ্রাম করে গিয়েছেন। বাংলার প্রতিটি পরতে পরতে যেন তার প্রতিচ্ছবি দেখতে পাই।
সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মোঃ রেদওয়ানুর রহমানের সঞ্চালনায় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ মাহবুবুর রহমান, ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ আসিফ সাদিক, ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বিভাগের প্রভাষক মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, কো-অর্ডিনেটর আল মামুন ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ মাহবুবুল ইসলাম প্রমুখ।
সাগর চৌধুরী,১৮ মার্চ ২০২০