বিশেষ সংবাদ

১শ’ ৫০ থেকে ২শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে সৌদিয়ান খেজুর গাছ

বগুড়ার উপজেলা সদরের তেঁতুলিয়া গ্রামের মৃত অছিম প্রামাণিকের ছেলে বাবলু প্রামাণিক বিদেশী খেজুড়ের চারা উৎপাদনে সফলতা পেয়েছেন। তার গাছ এখন ১শ’ ৫০ থেকে ২শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

২০০১ সালে সংসারের উন্নতির লক্ষ্যে বাবলু প্রামাণিক কাজের জন্য দুবই যান। সে দেশের রাজধানী আবুধাবির একটি কোম্পানিতে প্রায় ১৫ বছর কাজ করে তিন মাস আগে দেশে ফিরেছেন।

সেখান থেকে আসার সময় বাবুল খেজুরের প্রায় তিন হাজার পিস বীজ নিয়ে আসেন। দেশে ফেরার পর পরীামূলক বাড়ির আঙিনায় জৈবসার ব্যবহার করে পাঁচ-ছয় বীজ রোপণ করেন।

কোনো ওষুধ ব্যবহার না করে প্রতিদিন পরিমাণমতো পানি দিয়ে আসছিলেন বাবলু। কিছু দিন পর ওই চারাগুলো খেজুরগাছের আকৃতি হয়। পরে আরো বীজ বুনে নিজের পরিশ্রমে সফলতার মুখ দেখতে পান বাবলু। বর্তমানে খেজুরের চারা থেকে পাতা বের হয়ে গাছের রূপ ধারণ করেছে।

বাবলু প্রামাণিক জানান, তিনি শখ করেই আবুধাবি থেকে খেজুরগাছের বীজ এনে নিজেই পরীামূলক চারা তৈরির কাজ শুরু করেন এবং সফলতা পেয়েছেন। এসব গাছ ১৫০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তার এই বীজ থেকে চারা তৈরির ঘটনা এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহাদুজ্জামান জানান, বিদেশী খেজুরের বীজ এনে চারায় রূপান্তর করে রোপণ করা হলে বাংলাদেশের অনেক জায়গায় আশানুরূপ ফলন পাওয়া সম্ভব।

Share