দেশের বাকি অংশে লকডাউন শিথিল করা শুরু করলেও উপকূলীয় শহর জেদ্দায় কঠোর কারফিউ এবং অন্যান্য নিষেধাজ্ঞাগুলো পুণরায় জারি করেছে সৌদি আরব। সেখানে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া রোধে শনিবার থেকে দুই সপ্তাহের জন্য এই কারফিউ বহাল থাকবে। সৌদি প্রেস সংস্থা (এসপিএ) এই তথ্য জানিয়েছে।
দেশটির স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক নগরীর মহামারী সংক্রান্ত পরিস্থিতি পর্যালোচনার পর এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। শনিবার থেকে কারফিউ বিকেল ৩টায় শুরু হয়ে ভোর ৬টায় শেষ হবে। তবে সৌদি আরবের বাকি অংশে চলছে কারফিউ শিথিলের দ্বিতীয় ধাপ।
এই ধাপে দিনভর অফিস, আদালত ও ব্যবসায়িক কর্মযজ্ঞ চলার পর রাত ৮টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত কারফিউ জারি থাকছে। জেদ্দায় পরিস্থিতি বিবেচনা করে কারফিউয়ের সময় এবং বিচরণক্ষেত্র সীমাবদ্ধ করা হয়েছে।
নতুন ধাপে যেসব ধারা যুক্ত হয়েছে সেগুলো হলো, রাত ৮টার পরিবর্তে বিকেল ৩টা থেকে কারফিউ শুরু হয়ে পরদিন ভোর ৬টায় শেষ হবে। মসজিদে শুধু আজান হবে। নামাজ পড়া বন্ধ থাকবে। সরকারি এবং বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। পাঁচজনের বেশি মানুষ জমায়েত হওয়া নিষিদ্ধ। খাবার হোটেল আবার বন্ধ করা হয়েছে। শুধুমাত্র পার্সেল নেয়া যাবে। অভ্যন্তরীণ বিমান, ট্রেন ও বাস চলাচল করবে।
কারফিউ শিথিলের সময় অর্থাৎ ভোর ৬টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত জেদ্দা থেকে বের হওয়া যাবে এবং জেদ্দায় প্রবেশ করা যাবে। তবে কারফিউয়ের মধ্যেও জেদ্দার সঙ্গে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটগুলো চালু থাকবে। এ সময় বিমানযাত্রীর সঙ্গে থাকা বোর্ডিংপাস অথবা টিকেট তার চলাচলের অনুমতি বহন করবে।
প্রসঙ্গত, গত ২০ মার্চ সৌদি আরবের সব মসজিদে নামাজ পড়া স্থগিত হয়ে যাওয়ার পর দীর্ঘ ১১ সপ্তাহ পর গতকাল শুক্রবার দেশটির মসজিদগুলোতে জামাতে জুম্মার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। আবার আজ শনিবারই জেদ্দায় মসজিদে নামাজ আদায় স্থগিতের ঘোষণা এলো। আগামী ২১ জুন পর্যন্ত ১৫ দিন এই বিধিনিষেধগুলো কেবলমাত্র জেদ্দার জন্য প্রযোজ্য। তবে প্রয়োজনে সৌদি আরবের যে কোনো অঞ্চলেই পরিস্থিতির সাপেক্ষে এই বিধিনিষেধসমূহ চালু হতে পারে। সূত্র: ডিপিএ ইন্টারন্যাশনাল।
বার্তা কক্ষ,৭ জুন ২০২০