সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় ২২ ওমরাহ যাত্রী নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে আট বাংলাদেশি রয়েছেন। সোমবার দেশটির আসির প্রদেশে ওমরাহ যাত্রী বহনকারী একটি বাস উলটে আগুন ধরে গেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও ২৯ জন আহত হন।
নিহত বাংলাদেশিরা হলেন-
নোয়াখালীর শহিদুল ইসলাম, পিতা: মোঃ শরিয়ত উল্লাহ, ও মোহাম্মদ হেলাল, কুমিল্লার মামুন মিয়া,পিতাঃ আব্দুল আওয়াল, মুরাদনগর ও রাসেল মোল্লা, লক্ষ্মীপুরের সবুজ হোসাইন, কক্সবাজারের আসিফ, চাঁদপুরের রুকু মিয়া, পিতাঃ কালু মিয়া এবং গাজীপুরের টঙ্গীর ইমাম হোসাইন রনি,পিতাঃ আব্দুল লতিফ ।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন জানিয়েছেন, বাসটিতে ৪৭ জন যাত্রী ছিলেন। যারা ওমরাহ পালন করতে গিয়েছিলেন। এদের মধ্যে ৩৫ জনই ছিলেন বাংলাদেশি নাগরিক।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে- আহত ও নিহতদের সম্পর্কে সার্বিক বিষয়ে জানতে সৌদি দূতাবাসের দুটি হট নাম্বারে যোগাযোগ করতে পারবেন স্বজনরা। নাম্বার দুটি হলো- +৯৬৬৫৩৮৬৪৩৫৩২ ও +৯৬৬৫৫৩০২৬৮১৪।
গালফ নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, সৌদির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় আসির প্রদেশ ও আবহা শহরের সংযোগ সড়কের আকাবা শার সেতুতে দুর্ঘটনাটি ঘটে। ব্রেক কাজ না করায় সেতুটির ওপর উলটে গিয়ে বাসটিতে আগুন ধরে যায়। এতে ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। খবর পেয়ে সৌদি আরবের সিভিল ডিফেন্স ও রেড ক্রিসেন্ট কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। দুর্ঘটনাস্থলে তারা সাধারণের প্রবেশ বন্ধ করে দেয় এবং আহতদের দ্রুত হাসপাতালে পাঠায়। খালিজ টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, বাসের আরোহীরা ওমরাহ পালনের উদ্দেশে মক্কায় যাচ্ছিলেন।
সৌদি সংবাদমাধ্যম সৌদি গেজেটের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার বিকাল ৪টার দিকে আসির প্রদেশ ও আবহা শহরের সংযোগকারী ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ আকাবা শার সড়কের একটি সেতুর সঙ্গে ধাক্কা লেগে একটি বাস উলটে যায় এবং তাতে আগুন ধরে যায়। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে। আহতদের কাছাকাছি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এর আগে শনিবার ওমরাহ পালন শেষে মদিনা থেকে পৌনে পাঁচশ কিলোমিটার দূরে কর্মস্থলে ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে মোজাম্মেল হোসাইনের (৪৫) বাড়ি পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের ছৈলাবুনিয়া গ্রামে। ২৩ বছর আগে তিনি সৌদি আরবে পাড়ি জমিয়েছিলেন।
প্রতিবেদক: সাগর চৌধুরী, ২৮ মার্চ ২০২৩