সৌদি আরবে বসবাসরত প্রায় ৪ হাজার অভিবাসী বাংলাদেশিকে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে। প্রবাসীদের জন্য বাংলাদেশ সরকারের সহায়তার অংশ হিসেবে দূতাবাস ও কনস্যুলেটের পক্ষে থেকে অভিবাসী বাংলাদেশিদের এসব ফুড বাস্কেট বিতরণ করা হয়।
রোববার ৩ মে রিয়াদের বাংলাদেশ দূতাবাসের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
রিয়াদ দূতাবাসের পক্ষ থেকে প্রায় আড়াই হাজার অভিবাসী বাংলাদেশিকে এ খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া জেদ্দা কনস্যুলেটের আওতায় আরও প্রায় দুই হাজার অভিবাসীকে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে। দূতাবাস ও কনস্যুলেটের অধীনে অভিবাসীদের জন্য এ সহায়তা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে সৌদি আরবে ২৩ মার্চ থেকে কারফিউ চলমান রয়েছে। এ অবস্থায় অভিবাসী বাংলাদেশিদের অনেকেই আর্থিক সঙ্কটে পড়েছেন।
প্রথমদিকে, দূতাবাস ও কনস্যুলেটের পক্ষ থেকে চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজ, তেল, লবণ ও সাবানসহ ১৫০০ (এক হাজার পাঁচশত) ফুড বাস্কেট বিতরণ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়। চলমান কারফিউ ও চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় বিপদগ্রস্ত প্রবাসীদের কাছে বর্তমানে সুপার শপের কুপন মোবাইলে বিতরণ করা হচ্ছে যা দিয়ে প্রবাসীরা সহজেই কাছের আউটলেট হতে প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনতে পারবেন।
এর আগে দূতাবাস এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে কোনও প্রবাসী বাংলাদেশি যদি চরম খাদ্যাভাবে পড়েন এবং বেতন না পান সেক্ষেত্রে দুতবাসের ই-মেইলে অথবা হোয়াটস অ্যাপে তথ্য দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আর্থিক সঙ্কটে পড়া আবেদনকারীদের তালিকা তৈরি করা হয়।
খাদ্য সহায়তা বিতরণ কার্যক্রম বিষয়ে রাষ্ট্রদূত জানান, যারা সহায়তার জন্য দূতাবাসে আবেদন করেছেন তাদের পর্যায়ক্রমে সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ মোতাবেক বর্তমান পরিস্থিতিতে অভিবাসী বাংলাদেশিদের জন্য খাদ্য বিতরণ কার্যক্রম চলমান রাখা হয়েছে বলে তিনি জানান।
রাষ্ট্রদূত বলেন, আমরা চেষ্টা করছি বরাদ্দ অনুযায়ী যত বেশি সংখ্যক প্রবাসিকে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিতে। এছাড়া এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশি অভিবাসীরা যেন চাকরিচ্যুত না হন এ বিষয়ে সৌদি আরবের বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে বলেও তিনি জানান।
