সৌদি আরবে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত আব্দুল করিম (২৭) নামে এক প্রবাসী নিহত হয়েছে। নিহতের বাড়ী ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৭নং পাইকপাড়া উত্তর ইউনিয়নের উত্তর বিষেরবন্দ গ্রামে। সে ওই গ্রামের ইব্রাহিমের ছোট ছেলে।
গত প্রায় এক বছর পূর্বে অসহায় পরিবারের স্বচ্ছলতা ফেরানোর জন্য প্রবাসে পাড়ি দেয় এই রেমিট্যান্স যোদ্ধা। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস গত (১২ নভেম্বর) শনিবার সৌদি সময় রাত ৯ টায় কর্মস্থল থেকে বাসায় ফেরার পথে সড়ক দূর্ঘটনায় তার মর্মান্তিক মৃত্যু হয়।
এদিকে মৃত্যুর ৬ দিন পরেও শোকের মাতম কমছেনা আব্দুল করিমের পরিবারের। ১৭ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে আব্দুল করিমের বাড়িতে গেলে দেখা যায় হৃদয় বিধারক দৃশ্য। ৬ ভাই বোনের মধ্যে সবার ছোট আব্দুল করিম প্রায় এক বছর পূর্বে সদ্য বিবাহিত স্ত্রী মিতু আক্তারকে রেখে প্রবাসে পাড়ি জমান আব্দুল করিম।
এদিকে আব্দুল করিমের এই করুণ মৃত্যুর ঘটনায় মা-বাবা, ভাই বোন ও স্ত্রীসহ স্বজনদের আহাজারীতে পুরো এলাকায় শোকের মাতম বইছে। কোন শান্তনা-ই তাদের কান্না থামাতে পারছেনা।
আব্দুল করিমের স্ত্রী মিতু আক্তার কান্না জড়িত কণ্ঠে চাঁদপুর টাইমসকে জানান, বিয়ের পর পরেই স্বামী বিদেশে চলে যায়। এতদিন শুধু ফোনেই তার সাথে কথা হতো। এখন শেষ বারের মতো তার মুখ খানা দেখতে চাই।
আব্দুল করিমের বাবা ইব্রাহিম চাঁদপুর টাইমসকে জানান, পৃথিবীর সবচেয়ে ভারী বস্তুটি আমাকে বহন করতে হবে তা কখনো ভাবিনি। ছেলেকে হারিয়েছি এ কষ্ট বোঝানোর ভাষা নেই, তার লাশ দ্রুত দেশে নিয়ে আসতে আমি সরকারের সহযোগীতা কামনা করছি।
ফরিদগঞ্জ উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা তাসলিমুন নেছা চাঁদপুর টাইমসকে জানান, আমি খোঁজ খবর নিয়ে জেনেছি। পরিবারটি একে বারেই নিঃস্ব। লাশ দেশে দ্রুত ফিরিয়ে আনতে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করবো।
প্রতিবেদক: শিমুল হাছান, ১৭ নভেম্বর ২০২২