সোশ্যাল মিডিয়া গোয়েন্দাদের ঘুম হারাম করছে

ঢাকা: উন্নত টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা এবং সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেই ভবিষ্যতে ভয়ংকর অপরাধীরা সক্রিয় হবে। ফলে বিভিন্ন দেশে তাদের দাপট অনেকটা বেড়ে যাবে। বৃহস্পতিবার এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ব্রিটিশ গোয়েন্দা প্রধান অ্যান্ড্রূ পার্কার৷

আগামী দিনে প্রযুক্তিগত উন্নতিই কাল হয়ে দাঁড়াবে বিশ্বের তথাকথিত উন্নত দেশগুলোর। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবে বিভিন্ন সোশ্যাল নেটয়ার্ক সাইট এবং টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা৷ ব্রিটিশ গোয়েন্দাকর্তার এমন সাবধানবাণীতে রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়েছেন ব্রিটিশ প্রশাসনের একাংশ৷

ব্রিটিশ গোয়েন্দা প্রধানের এমন ধারণা নেহাত অমূলক তা বলা যাবে না ৷ পোড়খাওয়া এই গোয়েন্দা রীতিমতো ছক কষে দেখিয়ে দিয়েছেন, কিভাবে সোশ্যাল নেটওয়ার্ক সাইটগুলি বিভিন্ন অপরাধী ও জঙ্গি সংগঠনগুলিকে শক্তিশালী করে তুলছে ৷ একই সঙ্গে সাইবার জগতের অন্ধকার গলিপথে কী ভাবে সহজেই যে কোনও প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ভেঙে খান খান হয়ে যেতে পারে নাবালক অপরাধীদের হাতেও৷

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলে যাচ্ছে অপরাধের ধরণ। বৃহস্পতিবার এক সেমিনারে এমনই বলছিলেন ব্রিটিশ অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও কাউন্টার ইন্টেলিজেন্সের দায়িত্বে থাকা পার্কার ৷ তিনি জানালেন, গত কয়েক বছরে বহু বার ব্রিটিশ ও মার্কিন ব্যাংকগুলো অদৃশ্য অপরাধীদের হামলার মুখে পড়েছে ৷ কিন্তু, শতাংশের বিচারে খুব কমই এমন রয়েছে যখন প্রকৃত অপরাধীরা ধরা পড়েছে৷ বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই চীনা বা উত্তর কোরিয় হ্যাকারদের বিরদ্ধে ক্ষোভ দেখিয়েই শান্ত থেকেছে আক্রান্ত দেশগুলো৷

সেই উদাহরণই সামনে এনে পার্কার জানালেন, যারা এমন হামলাকারীদের গড় বয়স ১৫-১৭ বছর ৷ বিভিন্ন দেশ শত্রু দেশে সাইবার হামলা চালানোর জন্য কমবয়সীদের এমন সাইবার আক্রমণের জন্য প্রশিক্ষণ দেয় ৷ বিভিন্ন সোশ্যাল নেটওয়ার্ক সাইট তৈরি হয়ে যাওয়ার ফলে বর্তমানে সম্পূর্ণ ভুল নামে বা অন্য ব্যক্তির পরিচয় দিয়ে খুব সহজে নিজের পরিচয় গোপন করা সম্ভব৷ তার পর ছদ্ম পরিচয় কাজে লাগিয়ে সাইবার আক্রমণ তো বাঘা অপরাধীদের কাছে ছেলেখেলার বিষয়৷ এখান থেকে রক্ষা পাওয়ার কোনও উপায় দেখছেন না পার্কার৷

 

|| আপডেট: ০৪:২৪ অপরাহ্ন, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫, শনিবার,চাঁদপুর টাইমস : প্রতিনিধি/ এমআরআর/২০১৫

Share