চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলায় সোনালী মুরগী পালন করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন অর্ধশতাধিক অস্বচ্ছল পরিবার।চাঁদপুর জেলা পরিষদের এডিপি খাতের বিশেষ বরাদ্দের আওতায় আত্মকর্মসংস্থান মূলক সহায়তা প্রকল্পের মাধ্যমে সোনালী মুরগী পেয়ে মহাখুশি প্রত্যন্ত অঞ্চলের অসচ্ছল পরিবারের সদস্যরা।
জানা যায়, চাঁদপুর ৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) এলাকার সাংসদ মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম তাঁর নির্বাচনী এলাকার অসচ্ছল পরিবারগুলোর মুখে হাসি ফুটিয়ে স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে বিকল্প আয়বর্ধক হিসেবে এককালীন ১০৫ পরিবারের মাঝে পরিবার প্রতি ৩০ টি করে সোনালী মুরগী দিয়ে সহযোগিতা করেন। সাথে ফিড, মুরগীর খাঁচা ও প্রয়োজনীয় ঔষধ সরবরাহ করা হয়। উপকারভোগী ৫৫টি অসচ্ছল পরিবার সৌনালী মুরগী পেয়ে স্বপ্ন দেখে আসছেন।
সুবিদাভোগী উপজেলার গন্ধর্ব্যপুর দক্ষিন ইউনিয়নের পাচৈ গ্রামের মৃত জালাল আহমেদের ছেলে শারিরিক প্রতিবন্ধি হাবিব মিয়া (৪৬)। প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়েছেন অনেক আগেই। এখন পেয়েছেন মুরগী,খাচা,ঔষধ, ফিড। হাবিবের খুশির অন্ত নেই। মুরগী পালন করে পরিবারে স্বচ্ছলতা ফিরে আসবে বলে বিশ্বাস করেন হাবিব। আর পেছনে ফিরে তাকাতে হবে না বলেও আশাবাদী হাবিব। প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান কথায় কথায়। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি এখন মাথাগোঁজার ঠাঁই ও বেঁচে থাকার একটা অবলম্বন পেয়ে সুখে আছেন। স্বপ্ন দেখছেন একদিন বড় খামারি হবেন।।
চাঁদপুর জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও হাজীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী জসিম উদ্দিন বলেন, হাজীগঞ্জ শাহরাস্তির এমপি মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম মহোদয়ের নির্দেশনা ও অনুপ্রেরণায় উপজেলার অস্বচ্ছল মানুষদের খুঁজে বের করে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহীতার ভিত্তিতে ৫৫ টি তালিকাভুক্ত পরিবার প্রতি ৩০টি সোনালী মুরগী তুলে দেই যার ক্রয়মূল্য প্রতিটি ৪৮০ টাকা।
প্রতিটি অস্বচ্ছল পরিবারকে একটি করে খাঁচা দেই মুরগী পালন করার জন্য যা তৈরি করতে খরচ হয় ১৫ হাজার টাকা। প্রতি পরিবারকে মুরগীর ফিড দেই ১ বস্তা। মুরগী যাতে সুস্থ্য থাকে সেজন্য মুরগীকে ২ হাজার ২৫০ টাকার ভ্যাক্সিন দিয়ে দেই। সর্বোপরি অসচ্ছল মানুষদের জীবনমান উন্নয়নে সংসারে সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে এ উদ্যোগ নেন স্থানীয় সাংসদ।
প্রতিবেদক: জহিরুল ইসলা জয়, ২৫ জুলাই ২০২১