রাজনীতি

সৈয়দ আশরাফের আহবানকে স্বাগত জানিয়েছে বিএনপি

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের ‘বিভাজনের রাজনীতি থেকে বেরিয়ে এসে জাতীয় ঐক্যর রাজনীতির আহ্বান’কে স্বাগত জানিয়েছে বিএনপি।

দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, একদিকে জাতীয় ঐক্যর কথা বলে আরেক দিকে হিংসা, হানাহানির পক্ষে ও মামলা-হামলা নির্যাতনের মাধ্যমে বিএনপিকে নির্মূল করার পদক্ষেপ জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হবে না। সে জন্য সরকারকে প্রতিহিংসা ও হানাহানির রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।

শুক্রবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের সমন্বয় সভা শেষে দলের মুখপাত্র আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন এ কথা বলেন।

রিপন বলেন, ১৫ আগস্ট রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবর রহমান নির্মমভাবে নিহত হন। বিএনপি এই মর্মন্তুদ ঘটনায় শোকাহত। শেখ মুজিবর রহমান হত্যা ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মর্মান্তিক ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চায় বিএনপি। একই সঙ্গে চায় তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের শাস্তি। এসবই জাতীয় ঐক্যর প্যারামিটার। এ নিয়ে আমাদের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই। তাহলে কেন আমরা দেশে জাতীয় ঐক্যর রাজনীতি চর্চা করতে পারব না।

তিনি আরো বলেন, একদিকে ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক জাতীয় ঐক্যর আহ্বান জানাবেন। অন্যদিকে, তার দলের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে বিএনপির অনুপস্থিতিতে অভিযোগ করবেন, জিএসপি সুবিধা বাতিলের পেছনে বিএনপি ও ড. ইউনূস দায়ী। এদেশের গার্মেন্ট ও সেখানে লাখ লাখ কর্মজীবী মানুষের কল্যাণে বিএনপি সব সময়ই ভূমিকা রেখেছে। বিগত সময়ে বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন সে সময়ের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া এ খাতের উন্নয়নে প্রভূত ভূমিকা রেখেছেন। এখন বিএনপির অনুপস্থিতিতে জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন তা সত্য নয়। আমরা প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। একই সঙ্গে তার এ বক্তব্য জাতীয় সংসদের প্রসিডিংস থেকে প্রত্যাহারের দাবি জানাই।

আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, বিএনপির শুরু থেকেই (১৯৭৮) জাতীয় ঐক্যর রাজনীতির আহ্বান জানিয়ে আসছে। জাতীয় ঐক্যর প্রয়োজনেই বিএনপি প্রতিষ্ঠা হয়েছে। দুঃখের বিষয় আমাদের রাজনীতিতে বিভাজনের বিষবাষ্প শিকড় গেড়ে বসেছে। সৈয়দ আশরাফের বিভাজনের রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বানকে আমরা স্বাগত জানাই।

এদিকে, সংবাদ সম্মেলনের আগে শনিবার বিএনপি চেয়ারপারসনের ৮ম কারামুক্তি দিবসের কর্মসূচি উপলক্ষে এক সমন্বয় সভায় সভাপতিত্ব করেন রিপন। এতে শনিবার বেলা ৩টায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে খালেদা জিয়ার কারামুক্তি দিবসের আলোচনা সভা সফল করার বিষয়ে নিজেদের প্রস্তুতি গ্রহণ করে বিএনপি।

এ সময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আকবর খন্দকার, মহিলা দলের সভানেত্রী নুরী আরা সাফা, জাসাসের সভাপতি এমএ মালেক ও সাধারণ সম্পাদক কন্ঠশিল্পী মনির খান, ওলামা দলের সভাপতি এমএ মালেক, তাঁতী দলের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নাসিম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি মুনির হোসেনসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

 আপডেট: ০৬:১৭ পিএম, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৫, শুক্রবার

চাঁদপুর টাইমস- ডিএইচ/২০১৫।

Share