চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডের মতো ক্যার্ডিওলজি বিভাগেও হাই ফ্লো সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্ট চালু করা দরকার বলে মনে করছেন চাঁপুরবাসি। হাসপাতালের ক্যার্ডিওলজি বিভাগে ভর্তি থাকা রোগী এবং ওই বিভাগে
চিকিৎসাসেবা দানকারীরা মনে করছেন আইসোলেশন ওয়ার্ডের ন্যায় যদি ক্যার্ডিওলজি ওয়ার্ড গুলোতে এই হাই ফ্লো সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্ট চালু করা হয় তাহলে একদিকে যেমন হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীরা উন্নত চিকিৎসাসেবা পাবে অন্যদিকে এসব রোগীদের সেবা দেয়াটাও অনেকটা সহজ হবে।
জানা যায়, এই মহামারী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের সেবা দিতে, শিক্ষা মন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপির পিতা ভাষা বীর এম এ ওয়াদুদ মেমোরিয়াল ট্রাস্টের উদ্যোগে চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সরকারি জেনারেল হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সরবরাহ প্লান্টটি স্থাপন করা হয়। গত শনিবার (১১ জুলাই) সকালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্ট সরবরাহের উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা দীপু মনি এমপি। তিনি ঢাকা থেকে অনলাইনের মাধ্যমে এর উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
আর এ হাইফ্লো অক্সিজেনের ফলে তীব্র মাত্রায় অক্সিজেন সংকটে পড়া রোগীদের বিশেষ করে করোনা আক্রান্ত জটিল রোগীদের সেবা দেওয়া সহজতর হবে। অক্সিজেন প্লান্ট বর্তমানে আইসোলেশন ওয়ার্ডের ২৫টি বেড এবং করোনা রোগীদের জন্য সংরক্ষিত দুটি কেবিনের ৫টি বেডে সংযোগ দেওয়া হয়েছে। এতে অক্সিজেন সংকটাপন্ন রোগীদের প্রয়োজন অনুসারে সাপ্লাই দেওয়া সম্ভব হবে। এ উপলক্ষে সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ড হাসপাতালের ম‚ল ভবনের দ্বিতীয় তলায় স্থানান্তর করা হয়েছে।।
সরকারি এই হাসপাতালটিতে সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্ট চালু হওয়ায় হাসপাতালের চিকিৎসক ও কর্মকর্তারা স্বস্তি প্রকাশ করে বলেন, করোনা আক্রান্ত জটিল রোগীদের চিকিৎসাসেবা এখন অনেকটা সহজতর হবে। সেই সাথে আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যুর হারও অনেকটা কমবে বলে চিকিৎসকরা আশা ব্যক্ত করছেন।
এদিকে করোনা পরিস্থিতিতে হাসপাতালটির আইসোলেশন ওয়ার্ডে হাই ফ্লো সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্ট চালু হওয়ায় ক্যার্ডিওলজি বিভাগেও এমন হাই ফ্লো সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্টের দাবি জানিয়েছন রোগীরা। কারন ওই বিভাগে হার্ডজিনত রোগীদের চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হয়। এক্ষেত্রে এসব রোগীদের বেলায় অক্সিজেনের খুবই প্রয়োজন হয়।
কয়েকজন নার্সদের সাথে সাথে আলাপকালে তারা জানান, ক্যার্ডিওলজি বিভাগে হার্টের রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিতে গিয়ে আনেক কিছুর প্রয়োজন হয়। তারা জানান, এস ক্রাইনেস নামক একটি ইনজেকশন একজন রোগীকে পুস করতে হে সেখানে মনিটর, ভিপি পার্লস, অক্সিজেন সোসেসিয়েশন সহ নানা কিছুর প্রয়োজন হয়। তাই আইসোলেশন ওয়ার্ডের মতো যদি ক্যার্ডিওলজি ওয়ার্ড গুলোতেও এই হাই ফ্লো সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্ট চালু করা হয় তাহলে আর ওই ইনজেকশনটি পুশ করতে এসব সরঞ্জামদীর প্রয়োজন হবেনা।
অন্যদিকে হৃদরোগে আক্রান্ত এবং শাসকষ্ট জনিত রোগীরাও পাবে উন্নত চিকিৎসাসেবা। এছাড়া এসব রোগীদের সেবা দেয়াটাও অনেকটা সহজ হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিস্টরা।
চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আর এমও) এবং করোনা চিকিৎসক ডাঃ সুজাউদৌলা রুবেলের সাথে এ বিষয়ে কথা হলে তিনি বলেন, আমরা জানি যে ক্যার্ডিওলজি বিভাগেও এই হাই ফ্লো সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্টটি খুবই প্রয়োজন। তবুও এই মুহুর্তে করোনা পরিস্থিতিতে আমাদের কাছে আইসোলেশন ওয়ার্ডটিই বেশি গুরুত্বপূর্ন। এখন যেহেতু হাসপাতালে এই হাই ফ্লো সেন্ট্রাল অক্সিজেন স্থপান হয়েছে। সেক্ষেত্রে এটি ক্যার্ডিওলজি বিভাগেও নেয়া যাবে। এবং পরবর্তীতে সেখানেও হাই ফ্লো সেন্ট্রাল অক্সিজেন স্থপান করার চেষ্টা করবো।
প্রতিবেদক: কবির হোসেন মিজি,১৭ জুলাই ২০২০