চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার সেকদি গ্রামে মাদকসেবী ও বিক্রেতাদের দৌরাত্মে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। ওই গ্রামের কিছু মাদক বিক্রেতা জেল থেকে বেরিয়ে পুনরায় আবার মাদক ব্যবসা ও সেবন শুরু করেছে বলে জানান এলাকা বাসি।
এরফলে যেমন নষ্ট হচ্ছে যুব সমাজ অন্যদিকে মাদকের জন্য বিভিন্ন বাসা বাড়িতে ঘটছে চুরির ঘটনা।
বিশেষ করে সেকদি ৭নং ওয়ার্ডে মাদক সেবীদের আনাগোনা বেশি হয়য় ওই গ্রামের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ব্যক্তি জানান, সেকদি কমিউনিটি ক্লিনিক হতে শুরু করে সেকদি পাটওয়ারী বাড়ি পর্যন্ত প্রতিদিন রাতে এবং দিনের বিভিন্ন সময়ে মাদক সেবীরা অবস্থান নিয়ে থাকে। সেখানে তারা মদ, গাঁজা, ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য বিক্রি ও সেবন করে থাকে।
এলাকা বাসি আরো জানায়, ‘সকদি এলাকার মুনসুর হাজি আলী নেওয়াজ একজন চিহ্নিত মাদকসেবী ও বিক্রেতা। সে ক’বছর ধরে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে এলাকায় মাদক ব্যবসা চালায়। দীর্ঘদিন পূর্বে সে মাদক নিয়ে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশের হাতে ধরা পড়লে ভ্রাম্যমান আদালতে তাকে মাদকদ্রব্য আইনে সাজা দিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করে।
কিছু দিন পূর্বে সে সাজা ভোগ করে জেল থেকে বেরিয়ে পুনরায় আবার সেকদি গ্রামে মাদক ব্যবসা শুরু করে। তার এক সহযোগিও বর্তমানে মাদকের কারনে জেল হাজতে রয়েছে।
শুধু মুনসুর হাজী আলী নেওয়াজই নয়, তার সাথে মাদক ব্যবসার সাথে আরো বেশ ক’জন জড়িত রয়েছে বলে জানা গেছে।
এই ভয়াবহ মাদকের কারনে এলাকার যুবসমাজ একদিকে যেমন নষ্ট হচ্ছে অন্যদিকে মাদকের টাকা জোগাড় করতে গিয়ে মাদক সেবীরা বাসা বাড়িতে ঢুকে চুরিতে লিপ্ত হচ্ছে।
কয়েকটি বিশ্বস্ত সূত্র থেকে জানা যায়, মাদক ব্যবসায়ীরা ফরিদগঞ্জ উপজেলার মদনের গাঁও থেকে গাঁজা ও সেকদি রাস্তার মাথা থেকে ইয়াবা ক্রয় করে এনে সেগুলো এলাকার ও আসপাশের বিভিন্ন মাদকসেবীদের কাছে বিক্রি করে।
এলাকাবাসী দাবি, ‘এই উপজেলার মধ্যে সেকদি গ্রামের সুমান রয়েছে। কিন্তু এই মাদক বিক্রেতা ও সেবীদের কারনে আমাদের সে সুনাম দিন দিন নষ্ট হতে চলছে। তাই সেকদি গ্রামের সুমান ধরে রাখার জন্য এসকল মাদক সেবীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ জরুরী।’
।। আপডটে, বাংলাদশে সময় ১২:০২ পিএম, ১৯ অক্টোবর ২০১৬, বুধবার
এইউ
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur