ফিচার

‘সেই অমূল্য ১০ টাকা যত্ন করে তুলে রাখলাম’

আজকে জ্যাম এ বসে থাকতে থাকতে নাহয়ান (আমার একমাত্র ১১ মাসের ছেলে) বিরক্ত হয়ে গেছিলো। পরে আমি না পেরে জানালা অর্ধেক খুলে দেই। সেও খুব খুশি একটু করে মাথা আগায় আর মজা করে। নাহয়ান অপরিচিত হলেও প্রায় সবার দিকেই তাকিয়ে এমন হাসি দেই যে অন্যপক্ষ ওর সাথে না হেসে কথা বলে পারবে না (মাশাআল্লাহ) তো সে পাশের রিকশাওয়ালা মামার সাথে হাসাহাসি, খেলা শুরু করলো। মামাও যখন বুজছে আমি মাইন্ড করছিনা তখন স্বতঃস্ফূত ভাবে খুব আদর করে কথা বলছিল এবং খেলছিল।

আঙ্গুল দিয়ে পয়েন্ট করে, হাই ফাইভ, হ্যান্ড সেক করে। অনেকক্ষন যাবৎ তাদের ভাব আদান প্রদান চলে। সিগন্যাল যখন ছাড়বে মামা তার হাতে নতুন ১০ টাকার একটা নোট দেই এবং বলে মজা খাবে এইটা দিয়ে।

আমরা সবাই অপ্রস্তুত হয়ে গেছি কিন্তু তার চোখ মুখের আনন্দ দেখে আর না করতে পারি নি। শুধু দোয়া চেয়েছি তার কাছে আর মন থেকে দোয়া করি তার পরিবার যেন এক বেলাও অনাহারে না থাকে কোন দিন। অনেক বিত্তবান এর মনও এত বড় দেখা যায়না প্রায় সময় কিন্তু উনি অল্প সময়ে যে ভালবাসা দেখিয়েছেন তা যথার্থতই প্রসংশনীয়। সেই অমূল্য টাকা টা যত্ন করে তুলে রাখলাম।

বার্তা কক্ষ,১৮ জানুয়ারি ২০২০

Share