চাঁদপুর

তারুণ্যপ্রিয় কর্মকর্তার উদ্যোগী ভূমিকা ও সফল জুটির গল্প

সোস্যাল মিডিয়া সূত্রে চাঁদপুর টাইমস পাঠকদের জন্যে তারুণ্যপ্রিয় একজন আলোচিত ও সৃজনশীল সরকারি কর্মকর্তার ভূমিকায় সফল হওয়া জুটির গল্প প্রকাশ করা হলো। গল্পটি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার ফেসবুক ওয়াল থেকে সংগৃহীত।

‘এক সফল জুটির গল্প, এখন তাদের মাসিক বেতন ১৭০০ ডলার মাত্র’ শিরোনামে বাস্তব ও তরুণ প্রজন্মের জন্যে উৎসাহধর্মী গল্পটি লিখেছেন উপ-সচিব মোহাম্মদ আবদুল হাই।

তিনি লিখেন, ছবির হাসি খুশি ছবি দুটি বাংলাদেশের যুব সমাজের প্রতিচ্ছবি বলা যায় । কারণ বর্তমান যুব সমাজ শিক্ষা দীক্ষা, পরিশ্রম ও কর্মে উদ্যম । তারা বাবার হোটেলে খেতে ইচ্ছুক নহে । উত্তোরাধিকার সূত্রে কি পেল তা নিয়ে তাদের মাথা ব্যাথা নেই , তারা কি করলো এটি এখন তাদের আসল কথা ।

যাক, সংক্ষেপে বলি তাদের গল্প । পড়ালেখা শেষ করে চাকরির বাজারে তারা বেশ ঘুরলেন । তবে সফলতার পরশ নেই । আমি তখন বোয়েসেল এ চাকরি করি । কে যেন তাদের বললো আমার কাছে আসতে । তাহলে একটা কিছু হবেই হবে । একদিন সহাস্যে এসে জানালেন দেশে অথবা বিদেশে কর্মসংস্হানের কথা ।

বললাম , দেশে হবে না -বিদেশ হলে চেষ্টা করতে পারি । বিদেশে সব ঝুঁকির কথা বললাম । তারা রাজি । বললাম , পুরুষ হবে না-কেবল মহিলাটি যেতে পারবে । প্রথমে রাজি হয়নি দুজন । পরে সূত্র দিয়ে বললাম , বীজ গণিতের মতো । সূত্র জানলে ভাতে মরে না ! মেয়েটি বুঝলেও ছেলেটি বুঝতে চায় না । তবে মেয়েটি ঝাড়ি দিলে ছেলেটি রাজি হয় ।

মেয়েটির শিক্ষাগত ও আইটি জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে গার্মেন্টস এ অফিস সহকারী পদে জর্ডান পাঠিয়ে দিলাম । কৌশল বলে দিলাম কিভাবে কাজ করবে আর কিভাবে তার প্রিয়তম স্বামীকে নিয়ে যাবে ।

তারপর সেই এক বিশাল ইতিহাস। মাত্র ১৩৯৫০ টাকা খরচ করে পাড়ি জমনো জর্ডানে তাঁরা আজ প্রায় ৫ বছর ধরে আছে । এখন তাদের মোট বেতন মাসিক ১৭০০ ডলার যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা ।

প্রসঙ্গক্রমে বলা যায়, মেয়েটি তার প্রিয়তমকে নিয়ে গেলেন মাত্র ২৫০০ টাকা খরচ করে । কারণ সব কিছু কোম্পানি বহন করেছিলো! আল্লাহ তাদের সহায় হোন।

এদিকে ইমরান শানু নামে লেখকের এক ফ্যান মন্তব্যে জানান, ‘সত্যিই তারা সফল জুটি। আমি তাদের চিনি তারা আপনার (লেখকের) জন্য, এত দুরে আসতে পেরেছে। এ বছর তারা দুজনেই ওমরা হজ্জ পালন করেছে। আমি তাদের ওমরা হজ্জ পালনের সহযোগিতা করেছি। তাই আমি তাদের সহযোগিতা করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি।’

লেখক- প্রাক্তন এডিসি ও ডিডিএলজি, চাঁদপুর।
বর্তমানে ডেপুটি প্রজেক্ট ডাইরেক্টর(স্মার্ট কার্ড),
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়, ঢাকা

Share