মিয়ানমারে মুসলীম হত্যার প্রতিবাদে হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশ চাঁদপুর জেলা শাখার উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
শুক্রবার বাদ জুআ শহরের বাইতুল আমিন শপথ চত্বরে সমাবেশে বক্তরা বলেন, ‘নোবেল কেড়ে নিয়ে আন্তজার্তিক সন্ত্রাসী হিসেবে সূচীকে আখ্যা দেওয়া হোক। মিয়ানমারে যে মুসলীম নিধন হচ্ছে তা জাহিলিয়াতেরর যুগকে হার মানিয়েছে। মিয়ানমার সরকারের পরিচালিত এ হত্যাকান্ড গণহত্যার শামিল।’
এতে সভাপতিত্ব করেন হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশ চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি মাও. লিয়াকত হোসাইন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশ চাঁদপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাও. এস এম আনওয়ারুল করিম।
সংগঠনের সদস্য ফারুক মুহাম্মদ নোয়াইম ও একে আজাদের পরিচালানায় সমাবেশে অন্যানের মাঝে বক্তব্য রাখেন মুফতি মাহবুবুর রহমান, মুফতি শাহাদাত হোসাইন, মাও. হাবিবুর রহমান, মাও. তোফায়েল আহম্মদ, মাও. জাফর, মাও. আনোয়ার হোসেন, সাইফুদ্দিন আহমেদ, আঃ মান্নান, মাও. নূরুল ইসলাম, হাফেজ নাছির উদ্দিন।
বক্তারা বলেন আজ সারা বিশ্বে মুসলিম নিধন চলছে, মানবতা বিরোধী কর্মকান্ড বন্ধ করতে মায়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। বিশ্ব মুসলিমকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানাই। পাল্টা মুসলিম জাতিসংঘ গঠন করতে হবে। প্রয়োজনে তীতুমীরের বাঁশের লাঠিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের প্রস্তুতি নিতে হবে। বাংলাদেশের আকাশ সীমা লংঘন কোনো ভাবে মেনে নেয়া হবে না।
বক্তরা আরো বলেন মায়ানমার সরকার দুটি হেলিকপ্টার গানশিপ থেকে নিরস্ত্র ও নিরীহ রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর গুলী বর্ষণ করে। তাদের নির্বিচারে হত্যা করেছে। মায়ানমারের সরকার দীর্ঘদিন থেকেই রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর গণহত্যাযজ্ঞ চালিয়ে আসছে। গত তিন যুগ আগে মায়ানমার সরকার রোহিঙ্গা মুসলমানদের বিতাড়িত করে বাংলাদেশে আসতে বাধ্য করেছিল।
তাদের আজ পর্যন্ত মায়ানমার সরকার দেশে ফিরিয়ে নেয়নি। সাম্প্রতিক মায়ানমার সেনাবাহিনীর হামলায় হাজার হাজার রোহিঙ্গা মুসলমান গৃহহীন হয়ে পড়েছে।
নিউজ ডেস্ক
: আপডেট, বাংলাদেশ ৭: ৩০ পিএম, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ শুক্রবার
ডিএইচ