চাঁদপুর রোটারী ক্লাবের সার্জেন্ট-অ্যাট-আর্মস্ ও দৈনিক ইল্শেপাড়ের প্রধান সম্পাদক রোটারিয়ান মাহবুবুর রহমান সুমন এমপিএইচএফ (মাল্টিপল পল হ্যারিস ফেলো) হয়েছেন।
গত ৬ ডিসেম্বর রোটারী আন্তর্জাতিকের একটি ই-মেইলে এ তথ্য জানানো হয়। রোটারিয়ান মাহবুবুর রহমান সুমন এর আগে আরএফএসএম এবং পরে পিএইচএফ হন।
গত ১৮ নভেম্বর চট্টগ্রাম ক্লাবে দি রোটারী ফাউন্ডেশন (টিআরএফ)-এর সেমিনারে রোটারিয়ান সুমন রোটারী জেলা গভর্নর রোটারিয়ান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ তৈয়ব চৌধুরী এমপিএইচএফ, বি, পিএইচএস এবং অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি রোটারী আন্তর্জাতিক জেলা-৩৩৫০ ব্যাংককের সাবেক জেলা গভর্নর রোটারিয়ান ওইচাই ম্যানোওয়াচারকিটের হাতে এমপিএইচএফ(পিএইচএফ+১)-এর কন্ট্রিবিউশন তুলে দেন। পরে রোটারী আন্তর্জাতিক সদর দপ্তর আমেরিকার ইলিয়ওনসে তা’ জমা হলে ৬ ডিসেম্বর রোটারিয়ান সুমনকে তা’ জানানো হয়।
১৯৭০ সালে চাঁদপুর রোটারী ক্লাব প্রতিষ্ঠার পর থেকে চাঁদপুর, চাঁদপুর সেন্ট্রাল ও হাজীগঞ্জ রোটারী ক্লাবের ৩৯ জন পিএইচএফ হন। এর মধ্যে চাঁদপুর রোটারী ক্লাবের ২০ জন, চাঁদপুর সেন্ট্রাল রোটারী ক্লাবের ১০ জন এবং হাজীগঞ্জ রোটারী ক্লাবের ৯ জন রোটারিয়ান পিএইচএফ পদবী লাভ করেন।
এছাড়া চাঁদপুর রোটারী ক্লাবের ২২ জন, চাঁদপুর সেন্ট্রাল রোটারী ক্লাবের ২ জন এবং হাজীগঞ্জ রোটারী ক্লাবের ৮ জন রোটারিয়ান আরএফএসএম পদবী লাভ করেন।
চাঁদপুর রোটারী ক্লাবের যুব সংগঠন রূপসী রোটার্যাক্ট ক্লাবের সাবেক সভাপতি মিঠুন ঘোষও আরএফএমএস পদবী লাভ করেন। এর মধ্যে চাঁদপুর রোটারী ক্লাবের সার্জেন্ট-অ্যাট-আর্মস্ রোটারিয়ান মাহবুবুর রহমান সুমন এমপিএইচএফ (মাল্টিপল পল হ্যারিস ফেলো) পদবী অর্জন করলেন।
জানা যায়, বর্তমানে পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম আর্থিক ফান্ড ‘দি রোটারী ফাউন্ডেশন’ ১৯১৭ সালে তৎকালীন রোটারী আন্তর্জাতিকের প্রেসিডেন্ট রোটারিয়ান আর্ক সি. ক্লাম্প গঠন করেন। এরপর থেকে শতবর্ষে সারা পৃথিবীর রোটারিয়ানদের অনুদানে রোটারী ফাউন্ডেশন বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমে বিশ্বের দরিদ্র ও অসহায় মানুষের সেবা করে আসছে।
আর এই ফাউন্ডেশনে বিভিন্ন অঙ্কের দানকারীদের বিভিন্নভাবে পদবী দেয় রোটারী ইন্টারন্যাশনাল। মাত্র ১ হাজার ডলার এই ফান্ডে জমা দিলে তাকে পিএইচএফ পদবী দেয়া হয়। দুই হাজার বা তদুর্ধ্ব ডলার প্রদান করলে এমপিএইচএফ এবং ১শ’ ডলার দিলে আরএফএসএম পদবী প্রদান করা হয়। রোটারী ক্লাবের সাথে জড়িত নন এমন ব্যক্তিরাও ঐ ফান্ডে অনুদান দিতে পারেন।
রোটার্যাক্টর বা রোটারী ক্লাবের সাথে জড়িত নন এমন ব্যক্তিরাও ইতোমধ্যে ঐ ফান্ডে অনুদান প্রদান করেছেন এবং করতে পারেন। রোটারী আন্তর্জাতিক জেলা-৩২৮২ (বাংলাদেশ)-এর ১৩৪টি ক্লাবের প্রায় ৪ হাজার রোটারিয়ানের মধ্যে ৫ শতাধিক পিএইচএফ পদবীপ্রাপ্ত রয়েছেন।
রোটারী ফাউন্ডেশনের ফান্ড থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে সেবামূলক প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয় এবং অসহায়দের সহায়তা দেয়া হয়। এর মধ্যে অন্যতম বৃহৎ প্রকল্প হচ্ছে পৃথিবী থেকে পোলিও রোগ মুক্তকরণ প্রকল্প। সারা পৃথিবীতে পোলিওমুক্তকরণে রোটারী ইন্টারন্যাশনাল প্রায় ৪৫ হাজার কোটি টাকা খরচ করেছে। এছাড়া আফ্রিকার বিভিন্ন দেশসহ তৃতীয় বিশ্বের অভাবগ্রস্ত দেশে বিভিন্ন প্রকল্প তৈরি করে ঐ ফান্ড থেকে মানুষের সেবা করা হচ্ছে।
এর মধ্যে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানেও বৃহৎ প্রকল্পগুলোতে রোটারী ফাউন্ডেশন সহযোগিতা করে আসছে।
প্রসঙ্গত, ১৯৭০ সালে চাঁদপুর রোটারী ক্লাব প্রতিষ্ঠার পর অনেক রোটারিয়ান রোটারী ফাউন্ডেশনে কন্ট্রিবিউশন করলেও কেউ এমপিএইচএফ পদবী অর্জন করেননি। চাঁদপুর রোটারী ক্লাবের সার্জেন্ট-অ্যাট-আর্মস্ ও দৈনিক ইল্শেপাড়ের প্রধান সম্পাদক রোটারিয়ান মাহবুবুর রহমান সুমন চাঁদপুর থেকে প্রথম এমপিএইচএফ (মাল্টিপল পল হ্যারিস ফেলো) পদবী অর্জন করলেন।
করেসপন্ডেন্ট
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৫ : ৩০ পিএম, ১০ ডিসেম্বর ২০১৭, রোববার
এইউ