ভিজিএফ কার্ডের চাউল বিতরণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ফরিদগঞ্জ সুবিদপুর পূর্ব ইউপি চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেনসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে। সুবিদপুর পূর্ব ইউনিয়নের ভিজিএফ কার্ডদারিদের মাঝে চাউল বিতরণ না করে প্রায় ৩০০ শত কেজি চাউল আত্মসাতের অভিযোগ করছেন প্রায় ১০/১২ ভুক্তভোগী।
ভুক্তভোগী তানজিল, আরিফ, রাকিবসহ একাধিক ব্যক্তি জানান আমরা সুবিদপুর পূর্ব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেনের স্বাক্ষরিত ভিজিএফ চাউলের কার্ড পাই।
আজ রোববার নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আমাদের ইউনিয়ন পরিষদে চাউলের জন্য দীর্ঘ সময় উপেক্ষা পর চাল বিতরণকারীরা জানান, আজ চাল শেষ আর কোন চাল বিতরণ করা হবে না।
ভুক্তভোগীরা তাঁদের কাছে জানতে চাউলের পরিমাণ অনুযায়ী ভিজিএফ কার্ড চেয়ারম্যান কর্তৃক স্বাক্ষরিত বিতরণ করা হয় তাহলে এখানে আমরা প্রায় ১০ জন এক কেজি চাউল ও পাইনি তাহলে আমাদের কার্ডের ২শ’ কেজি চাউল কথাই গিয়েছে। কিন্তু এই বিষয়ে কতৃপক্ষ কোন সঠিক উত্তর দিতে পারেনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইউপি মেম্বার জানান, সরকার মোট ১৬৬৫০ কেজি ভিজিএফ চাউল দিয়েছে পাশাপাশি ১০ কেজি করে ১৬৫০ জনকে আমাদের চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন স্বাক্ষরিত ভিজিএফ কার্ড ভাগ করে দেওয়া হয়।
কিন্তু আজ অনেকেই কার্ড থাকা সত্ত্বেও চাউল পাননি এমনকি ১০ কেজির স্থলে ৮—৯ কেজি করে দেওয়ার ও অভিযোগ করছে বিভিন্ন কার্ডধারি ভুক্তভোগী। আপনারা বাকীটা চেয়ারম্যান থেকে জানতে পারেন কারণ চেয়ারম্যান আন্ডারে এই চাউলের কার্ড বিতরণ ও চাউলের দায়িত্ব থাকে।
এই বিষয়ে সুবিদপুর পূর্ব ইউনিয়নের ইউপি সচিব মোস্তফা জানান, ১৬৬৫ জনকেই ভিজিএফ কার্ড দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী ১৬৬৫০ কেজি চাউল সরকার বিতরণ করতে আমাদের পাঠিয়েছেন কিন্তু কার্ডধারি কেউ ফেরত যাওয়ার কথা না। আমি নামাজ পড়তে এসেছি তারপর আপনার কাছে করা ভুক্তভোগীদের অভিযোগটি আমি দেখবো এবং চেয়ারম্যান এর সাথে আলোচনা করবো।
এই বিষয়ে জানতে সুবিদপুর পূর্ব ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেনকে একাধিকবার ফোন করে ও পাওয়া যায়নি।
প্রতিবেদক: মাজহারুল ইসলাম অনিক, ১৬ এপ্রিল ২০২৩