Saturday, May 02, 2015 10:31:00 PM
আন্তজাতিক ডেস্ক :
নববধূকে দেহব্যবসায় নামাতে চেয়েছিল স্বামী। সেটা বুঝতে পেরে সুন্দরী নববধূ আর দেরি না করে বিবাহবিচ্ছেদের জন্য সরকারি আইনজীবীর শরণাপন্ন হন। সেখানে যেয়েও পার পেলেন না সেই নববধূ।
আইনজীবী সুবিচার দেওয়ার বদলে মামলা মিটমাটের নামে ডেকে পাঠিয়ে মাদক মেশানো পানী খাইয়ে ওই বধূকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল আইনজীবী ও তাঁর দুই সঙ্গীর বিরুদ্ধে। বসিরহাটের এই ঘটনায় নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে সরকারি আইনজীবী আসলাম উজ্জামান ও তাঁর এক সঙ্গী হাসানুর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আর এক অভিযুক্ত রাজীব সরকার পলাতক।
রাসত আদালতের অতিরিক্ত দায়রা বিচারক এডউইন লেপচা ধৃত দুই জনকেই একদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। এ দিন উত্তর ২৪ পরগনা জেলা হাসপাতালে ওই তরুণীর মেডিক্যাল টেস্ট হয়। এ দিন তার গোপন জবানবন্দিও শোনেন বারাসত আদালতের বিচারক৷ এর পর তাকে বাড়িতে পৌঁছে দেয় পুলিশ৷
নির্যাতিতার মা বলেন, স্বামীর হাত থেকে বাঁচতে গিয়ে মেয়ের এমন ক্ষতি হয়ে গেল। ঘটনার পিছনে জামাইয়েরও হাত রয়েছে। ঘটনার পর বেপাত্তা বধূর স্বামীও। সবাইকে গ্রেপ্তার করা না হলে ফের হামলার আশঙ্কায় রয়েছেন তরুণী ও তাঁর পরিবার।
মাত্র ১০ দিন আগে আমিনপুরের এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল ওই তরুণীর। কিন্তু স্বামীর মতিগতি সম্পর্কে সন্দেহ হয় তার।
নির্যাতিতার মা জানান, নিজের বন্ধুদের খুশি করতে হবে বলে মেয়ের কাছে দাবি করত জামাই। তরুণীর সন্দেহ হয়, দেহব্যবসায় নামানোর জন্যই তাকে বিয়ে করে ওই ব্যক্তি। এর পর বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করতে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা আদালতের সরকারি আইনজীবী আসলাম ওরফে সাহেবের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি।
নির্যাতিতার অভিযোগ, মামলায় আপোসের জন্য তাকে ফোন করে লেবুতলা স্টেশনে ডেকে পাঠান সাহেব। শনিবার সন্ধ্যায় তরুণী সেখানে গেলে সাহেব তাকে বাইকে চাপিয়ে দেগঙ্গার তেঁতুলতলায় জনৈক সামসুর মাস্টারের নির্মীয়মান বাড়িতে নিয়ে যান। আগে থেকেই সেখানে ছিলেন তরুণীর স্বামী, একটি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কের আধিকারিক রাজীব সরকার এবং হাসানুর রহমান নামে এক ব্যক্তি। তাদের বসার ব্যবস্থা করে দেন জাহাঙ্গির হোসেন বলে এক যুবক৷
দুই পক্ষের আলোচনায় ঠিক হয় বিয়ে উপলক্ষে পাওয়া জিনিসপত্র ফেরত দেওয়া হবে।
তরুণীর অভিযোগ, ওই সিদ্ধান্তের পর সঙ্গীদের নিয়ে তার স্বামী বাড়ি থেকে চলে যান। এর পরই মাদক মেশানো পানীয় খাইয়ে বেহুঁশ করে তরুণীকে ধর্ষণ করে সাহেব, রাজীব এবং হাসানুর। পুলিশের কাছে দায়ের করা অভিযোগে তরুণী জানিয়েছেন, তার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন। সেখান থেকে অসংলগ্ন ও অর্ধচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে বিশ্বনাথপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠান স্থানীয়রা৷ সাহেব ও হাসানুরকে পাকড়াও করে এলাকাবাসীই পুলিশের হাতে তুলে দেয়। তবে পালিয়ে যায় রাজীব।
এমআরআর/2015
নিয়মিত আপনার ফেসবুকে নিউজ পেতে ক্লিক করে লাইক দিন :
https://www.facebook.com/chandpurtimesonline/likes
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur