লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা সীমান্তে গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন আরও দুই জন। বুধবার দিবাগত রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের দোলাপাড়া সীমান্তের ৮৮৮ নম্বর মেইন পিলারের কাছে এই ঘটনা ঘটেছে।
নিহতরা হলেন– বড়খাতা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের দোলাপাড়া এলাকার ভ্যানচালক হাফিজুল ইসলামের ছেলে সাব্বির হোসেন সাদিক(২১) এবং একই ইউনিয়নের পূর্বফকিরপাড়া এলাকার আব্দুস সামাদের ছেলে নাজির হোসেন মংলু।
আহতরা হয়েছেন– পূর্ব ফকিরপাড়া এলাকার আব্দুল কাসিমের ছেলে আব্দুল গনি(৩৫) এবং একই এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে আজিজুল ইসলাম(৪০)।
বড়খাতা ইউনিয়নের সদস্য হাফিজুল ইসলাম বলেন, ‘বুধবার রাতে ১৫-১৬ জন চোরাকারবারি ভারতীয় গরু পাচারকারী চক্রের সহযোগিতায় গরু আনতে সীমান্তে যায়। সে সময় ভারতীয় রানীনগর ৭৫ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের অমৃত ক্যাম্পের টহল দলের গুলিতে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। বিজিবির সদস্যরাসহ অনেকেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।’
জানা গেছে, গরু আনতে যাওয়া দলের অপর সদস্যরা নিহত ও আহতদের উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। নিহতদের লাশ নিজ নিজ বাড়িতে আছে। আহতদের রংপুরে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।
নিহত সাব্বির হোসেন সাদিকের চাচা বলেন, ‘এ বছর সাদিক বড়খাতা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভোকেশনাল শাখা থেকে এসএসসি পাস করেছে। তার আর কলেজে পড়াশোনা করা হলো না। আমরা এই হত্যার বিচার চাই। এই গুলি বন্ধ চাই।’
হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ ব্যাপারে জানতে চাপানী ৬১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মীর হাসান শাহরিয়ার মাহমুদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এ ছাড়া কোম্পানি কমান্ডারও ফোন রিসিভ করেননি।