প্রসঙ্গ : সেভেন সিস্টার্স

বাংলাদেশের সরকার পরিবর্তনের পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনায় সেভেন সিস্টার্স। অন্তর্বতীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড.মুহাম্মদ ইউনূসের একটি বক্তব্যের পর এটি ভাইরাল হয়।

ভারতের সংবাদমাধ্যমে দেয়া এক অনলাইন সাক্ষাৎকারে এ নোবেলবিজয়ী বলেন, ‘বাংলাদেশকে কেউ অস্থিতিশীল করতে চাইলে চারদিকে অস্থিতিশীলতা ছড়িয়ে পড়বে। প্রতিবেশী মিয়ানমার,ভারতের সেভেন সিস্টার্স,পশ্চিমবঙ্গ সব জায়গাতেই ছড়িয়ে পড়বে অস্থিরতা।’

মূলত ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের ৭টি রাজ্য সেভেন সিস্টার্স নামে পরিচিত। ভারতের রাজ্য ২৮টি এবং ভারতের কেন্দ্র শাসিত রাজ্য ৫টি। অরুণাচল প্রদেশ,  আসাম,মণিপুর,মেঘালয়,মিজোরাম, নাগাল্যান্ড এবং ত্রিপুরা সেভেন সিস্টার্স নামে পরিচিত। সেভেন সিস্টার্স অন্তর্ভুক্ত ৪টি রাজ্যের সাথে বাংলাদেশের সীমানা সংযোগ রয়েছে। সে সব হলো আসাম,মেঘালয়,মিজোরাম,ত্রিপুরা৷ উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় নয় বলে পশ্চিমবঙ্গ বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী হলেও সেভেন সিস্টার্সের অন্তভূক্ত নয়।

ত্রিপুরা রাজ্যের সাংবাদিক জ্যোতি প্রসাদ সাইকিয়া সর্বপ্রথম সাতটি রাজ্যকে একত্রে সেভেন সিস্টার্স নামে উল্লেখ করেন। ১৯৭২ সালে এ সাতটিকে সেভেন সিস্টার্স মর্যাদা দেয়া হয়। আগে এসব অঞ্চল ভারতের অন্তর্ভুক্ত ছিলো না,আসামের মাধ্যমে ভারতে যুক্ত হয় রাজ্যগুলো।

এসব অঞ্চলে বসবাসরত গাড়ো,খাসিয়া,ত্রিপুরা,মিজোরামসহ নানা আধিবাসীরা নিজেদের অধিকারের জন্য নতুন রাষ্ট্র গঠনের দাবি করে আসছে।

এ রাজ্যগুলো বিভিন্ন দিক দিয়ে একে অপরের উপরের নির্ভরশীল। সংস্কৃতি,ধর্ম,কৃষ্টি-কালচার এক না হলেও নানা ক্ষেত্রেই রয়েছে তাদের মিল। এসব রাজ্যের অধিকাংশ লোকই উপজাতি ও আদিবাসী। রাজ্যগুলোর জাতি ও ধর্মীয় অমিল থাকলেও রাজনীতি, অর্থনীতি নানা বিষয়ে সংযোগ রয়েছে।

সাতটি রাজ্যের আয়তন ২,৬২,১৮৪ বর্গ কি.মি. যা ভারতের প্রায় ৪ % এলাকা নিয়ে গঠিত। সূত্র : ওয়েবসাইড

চাঁদপুর টাইমস রিপোর্ট
সম্পাদনায়-আবদুল গনি
২৯ আগস্ট ২০২৪
এজি

Share