শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে রাত ৩টার দিকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) তাকে ভর্তি করানো হয়।
তাকে সিসিইউতে রেখেই চিকিৎসা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানো হবে।
রোববার (৩১ মার্চ) বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত রাতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যরা গুলশানে তার বাসভবনে যান। পরে খালেদা জিয়াকে মেডিক্যাল বোর্ডের পরামর্শক্রমে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
তখন বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার জানিয়েছিলেন, খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের জরুরি কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য কিছুক্ষণের মধ্যে রাজধানীর বসুন্ধরাস্থ এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হবে।
এরপর তাকে রাত সাড়ে ৩টার দিকে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) ভর্তি করানো হয়।
সর্বশেষ গত বুধবার (১৩ মার্চ) স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। পর দিন বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) রাতে তাকে হাসপাতাল থেকে বাসায় নিয়ে আসা হয়।
এর আগে, বুধবার (২৭ মার্চ) খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে তাকে হাসপাতালে নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যদের সিদ্ধান্ত ক্রমে বাসা থেকেই তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। তখন বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, সেদিন দুপুরের দিকে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা কিছুটা খারাপ ছিল। কিন্তু পরবর্তী কিছুটা সুস্থ বোধ করায় তাকে হাসপাতালে না নিয়ে বাসা থেকেই চিকিৎসা দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, দুর্নীতির দুই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির চেয়ারপারসন ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাবন্দি হন। দুই বছরের বেশি সময় কারাবন্দি ছিলেন তিনি।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সাজা ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার নির্বাহী আদেশে স্থগিত করে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দিয়েছিল। তখন থেকে ছয় মাস পরপর তার সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়াচ্ছে সরকার।
চাঁদপুর টাইমস ডেস্ক/ ৩১ মার্চ ২০২৪