Home / জাতীয় / রাজনীতি / সিলেটে দেয়া প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে আওয়ামী লীগ নেতার ক্ষোভ
সিলেটে দেয়া প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে আওয়ামী লীগ নেতার ক্ষোভ

সিলেটে দেয়া প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে আওয়ামী লীগ নেতার ক্ষোভ

সিলেটের আলীয়া মাদ্রাসা মাঠে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া বক্তব্য নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সিলেটের বিশিষ্ট রাজনীতিক সুলতান মোহাম্মদ মনসুর।

বৃহস্পতিবার রাতে ফেসবুক হওয়ালে এক স্ট্যাটাসে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যর প্রতিক্রিয়া জানান আওয়ামী লীগের প্রবীন এই নেতা।

তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী তার বক্তৃতায় সিলেটের অনেক কৃতি সন্তানের নামোচ্চারণ করলেও মুক্তি বাহিনীর সর্বাধিনায়ক জেনারেল আতাউল গনী ওসমানী, উপ প্রধান জেনারেল এম এ রব, সাবেক স্পিকার হুমায়ূন রশিদ চৌধুরী, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুস সামাদ আজাদ, সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এম.এস কিবরিয়া, সিলেট অঞ্চলে আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রাণপুরুষ দেওয়ান ফরিদ গাজীসহ অনেকের নাম মুখে তুলেননি। এমনকি সিলেটের উন্নয়নের অন্যতম রূপকার বিএনপি নেতা সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের নাম উল্লেখ না করায় প্রধানমন্ত্রীর উদারতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেন সুলতান মহোম্মদ মনসুর।

বাংলামেইলের পাঠাকদের জন্য তার স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে দেয়া হলো:

‘সিলেটের ঐতিহাসিক আলেয়া মাঠে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘ বক্তব্যে বাঙালির মুক্তি আন্দোলন, দলগঠন ও মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে পুণ্যভূমি সিলেটের সন্তান হিসেবে যারা ভূমিকা রেখেছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম মুক্তি বাহিনীর সর্বাধিনায়ক জেনারেল আতাউল গনী ওসমানী, উপ প্রধান জেনারেল এম এ রব, সাবেক স্পিকার হুমায়ূন রশিদ চৌধুরী, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুস সামাদ আজাদ, সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এম.এস কিবরিয়া, সিলেট অঞ্চলে আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রাণপুরুষ দেওয়ান ফরিদ গাজীসহ জাতীয় নেতৃত্ব ও ব্যক্তিত্বের নাম উল্লেখ না করায় গভীর ক্ষোভ প্রকাশ করছি। এমনকি একজন সরকার প্রধান হিসাবে বৃহত্তর সিলেটের উন্নয়নের অন্যতম রূপকার এম. সাইফুর রহমানের নাম উল্লেখ করলে কোনো বিশেষ ক্ষতি হয়ে যেতো না। বলাবাহুল্য মাদরাসা মাঠ থেকে জাতীয় নেতৃত্ব হিসাবে আওয়ামী লীগের মঞ্চ থেকে যাদেরকে দিয়ে বক্তব্য দেওয়ানো হয়েছে যথাক্রমে এম এ মুহিত, বাবু সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, নুরুল ইসলাম নাহিদ, ও আব্দুল মান্নান, এরা কেউই ৯০ সালের আগে আওয়ামীলীগ করেননি। এদের সবাই ৯০ সালের স্বৈরাচার পতনের আগ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ও বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে অপপ্রচারে ভুমিকা রেখেছেন। এবং ৭৫ পরবর্তী ভিবিন্ন সরকারের আমলে সুবিধা নিয়েছেন। পরবর্তীতে ৪-৫ দল পাল্টিয়ে আওয়ামী লীগের বিজয় লগ্নে আওয়ামী লীগে যোগদানের মাধ্যমে আজকের ভোটারবিহীন সরকারের সুবিধা ভোগ করছেন। সত্যিকার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও পুণ্যভূমির সর্বস্তরের জনগণকে আগামী দিনে সকলের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে সুবিধাবাদিদের বিরুদ্ধে সজাগ ও ঐক্যবধ্য হওয়ার আহবান জানাই। জয় বাংলা… জয় বঙ্গবন্ধু… জয় হউক বাংলার জনগণের’

উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগের ‘সংস্কারপন্থী’ অংশ হিসেবে পরিচিতি পান সুলতান মনসুর। ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি থেকে আগের কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সাবের হোসেন চৌধুরী, মাহমুদুর রহমান মান্না, আব্দুল মান্নানের সঙ্গে বাদ পড়েন সুলতান মনসুরও। (বাংলামেইল)

নিউজ ডেস্ক ।।আপডেট : ১:৪৭ পিএম, ২২জানুয়ারি ২০১৬, শুক্রবার
ডিএইচ